সাম্প্রতিক সময়ে হার্ট অ্যাটাকের অনেক মর্মান্তিক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।অনেক লোক হঠাত্ হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে এবং এর মধ্যে সাধারণ মানুষ এবং সেলিব্রিটিও রয়েছে। হৃদরোগ নিয়ে অনেক ধরণের গবেষণা চলছে।সম্প্রতি একটি গবেষণায় জানা গেছে যে, আমাদের ঘুমের ধরণও হৃদরোগের সাথে সম্পর্কিত।গবেষণা অনুযায়ী,রাতে সঠিক সময়ে ঘুমালে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি রোধ করা যায়।এক্সেটার ইউনিভার্সিটির গবেষণায় এই দাবি করা হয়েছে।
স্লিপ প্যাটার্ন এবং হৃদরোগের মধ্যে সম্পর্ক - গবেষণায় বলা হয়েছে,যারা রাত ১২টা পর্যন্ত জেগে থাকেন তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি থাকে।আরও বলা হয়েছে স্লিপ প্যাটার্ন এবং হৃদরোগের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। ইংল্যান্ডের ৮৮ হাজার মানুষকে এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।এই গবেষণায়,মানুষের কাছ থেকে তাদের ঘুমানোর এবং জেগে ওঠার সময় সম্পর্কে তথ্য নেওয়া হয়েছিল।এর সাথে খাবার এবং জীবনযাত্রা সম্পর্কিত অন্যান্য তথ্যও নেওয়া হয়েছিল।
কিভাবে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানো যায় - গবেষণায় জড়িত ব্যক্তিদের মেডিক্যাল রেকর্ড চার বছর ধরে পরীক্ষা করা হয়েছিল।সমীক্ষা অনুসারে,যারা রাত ১১টার আগে ঘুমিয়েছিলেন তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা কম ছিল। যারা দেরি করে বা রাত ১১টার পরে ঘুমান তাদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত বেশি ছিল।গবেষণায় বলা হয়েছে,দেরি করে ঘুমানোর কারণে শরীরের সার্কেডিয়ান রিদম খারাপ হতে শুরু করে।যার কারণে হার্টও আক্রান্ত হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষকে রাত ১১টার মধ্যে ঘুমানোর পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।
জীবনধারা এবং মানসিক স্বাস্থ্য - আমেরিকান হার্ট জার্নাল অনুসারে,হৃদরোগ প্রতিরোধ করার জন্য একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। সময়মতো ঘুমানো এবং ব্যায়াম করা খুবই জরুরি।এর পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার ওপরও জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।এছাড়াও চিকিত্সকরা বলছেন, জেনেটিক কারণেও অনেকে হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন। আগে ছোটখাটো হার্ট অ্যাটাক হলেও আবারও অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা থাকে।অনেকের হার্ট অ্যাটাকের কোনও লক্ষণ দেখা যায় না।একে বলা হয় সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক।
এই বিষয়গুলো মাথায় রাখা জরুরি -
আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে দৈনন্দিন জীবনে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি -
খাবারে চর্বির পরিমাণ কম রাখুন।
ভাজা এবং রাস্তার খাবার এড়িয়ে চলুন।
প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন।
ধূমপান করবেন না।কারণ ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।