ঢাকা-কক্সবাজার রুটে প্রথম যাত্রীবাহী বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে আজ শুক্রবার। ৭৮০ জন যাত্রী নিয়ে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ নামে বিরতিহীন ট্রেনটি আজ রাত ১০টা ৩০ মিনিটে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে কক্সবাজার পৌঁছার কথা। আর ফিরতি পথে দুপুর ১টায় কক্সবাজার থেকে ছেড়ে রাত ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা। এর মাধ্যমে ঢাকা থেকে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে প্রথম ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে। যাত্রা শুরুর প্রথম দিন দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে কক্সবাজার আইকনিক স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসবে ট্রেনটি। রাত ৯টা ১০ মিনিটে ট্রেনটি ঢাকার স্টেশনে পৌঁছার কথা।
ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চলাচল করা যাত্রীবাহী ট্রেনটির গতিসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার। পরীক্ষামূলক কয়েক দফা সফল চলাচলের পর গত ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন করেন। ওই সময় তিনি ডিসেম্বর থেকে দুটি ট্রেন চালুর নির্দেশ দেন। ঢাকা থেকে ট্রেনটি ৮ ঘণ্টা ১০ মিনিটে কক্সবাজার পৌঁছাবে। এরই মধ্যে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ট্রেনের সব টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
নতুন এই ট্রেনে ১৬টি কোচে আসন সংখ্যা ৭৮০টি। এর মধ্যে ৬টি এসি কোচে ৩৩০টি আসন, ৭টি নন-এসি কোচে ৪২০টি আসন আর দুটি খাবার গাড়ির কোচে ৩০টি নন-এসি আসন রয়েছে।
ঢাকা-কক্সবাজার পর্যন্ত শোভন চেয়ারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯৫ টাকা। এসি চেয়ারের ভাড়া ১ হাজার ৩২৫ টাকা, এসি সিটের ভাড়া ১ হাজার ৫৯০ টাকা, এসি বার্থের ভাড়া (ঘুমিয়ে যাওয়ার আসন) ২ হাজার ৩৮০ টাকা। অপর দিকে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত শোভন চেয়ারের ভাড়া ২০৫ টাকা, স্নিগ্ধা শ্রেণির ভাড়া ৩৮৬ টাকা, এসি সিটের ভাড়া ৪৬৬ টাকা, এসি বার্থের ভাড়া ৬৯৬ টাকা।
ঢাকা থেকে সোমবার আর কক্সবাজার থেকে মঙ্গলবার বন্ধ থাকবে ট্রেনটি।
রেলওয়ের পরিবহন বিভাগের তথ্য মতে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত দুই জোড়া ও চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত দুই জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে দুই জোড়া কমিউটার ট্রেন সার্ভিস চালুর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শতভাগ শেষ না হওয়ায় আপাতত ঢাকা থেকে প্রতিদিন এক জোড়া ও চট্টগ্রাম থেকে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে। রেক বা কোচ ও ইঞ্জিন পাওয়া সাপেক্ষে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে আরও একজোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালানো হবে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে।
রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী জানান, নতুন এ রুটে পুরো রেললাইন প্রস্তুত। বিরতিহীন ট্রেনটি চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেবে। এ স্টেশনে ট্রেনের ইঞ্জিন ঘোরাতে হবে।