ভূমি ব্যবহারে প্রত্যেক উপজেলায় মাস্টারপ্ল্যান (মহাপরিকল্পনা) করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন। সভা শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
মাহবুব হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে নির্দেশনা এসেছে, ভূমি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেক উপজেলায় যেন মাস্টারপ্ল্যান থাকে। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে যে, তারা এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এবং এই লক্ষ্যে তারা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, স্বল্পতম সময়ের মধ্যে যেন এটি সম্পন্ন হয়। এটি থাকলে উন্নয়নের পাশাপাশি ভূমির ব্যবহারও খুবই যৌক্তিক হবে। যেখানে-সেখানে যেন ঘরবাড়ি, শিল্পকারখানা কিংবা অন্য কোনোভাবে ভূমির ব্যবহার না হয়, সেদিকে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) নজর রাখতে বলেছেন। এটি হয়ে গেলে ভূমির ক্ষেত্রে একটি শৃঙ্খলা আসবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, উপজেলাভিত্তিক ভূমি ব্যবহারে মাস্টারপ্ল্যান করতে হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগ এখন থেকে এই বিষয়ে কাজ করবে।
মাহবুব হোসেন বলেন, সভায় ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষায় একটি বোর্ড গঠনের বিধান রেখে ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৩’র খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। তিনি বলেন, তথ্য এখন সবচেয়ে বড় রিসোর্স। এই ডিজিটাল যুগে তথ্য ব্যবহার সবচেয়ে বেশি কৌশলগত রিসোর্স হিসেবে পরিগণিত হয়। তথ্য ব্যবহারের ব্যবস্থাপনা কিংবা একজন ব্যক্তির তথ্য-উপাত্ত ব্যবহারের ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তির গোপনীয়তা, ব্যক্তি স্বতন্ত্র এবং তার যে সম্মতির প্রয়োজন হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য দেশে উপাত্ত সুরক্ষা বোর্ড নামে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হবে। বোর্ডের একজন চেয়ারম্যান থাকবে এবং চারজন সদস্য থাকবে। অন্যান্য সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর মতোই এই বোর্ড পরিচালিত হবে।
তিনি বলেন, উপাত্ত যারা সংগ্রহ করবেন তাদের জন্য অনুসরণীয় কিছু নীতিমালা থাকবে, কিছু বিধি-বিধান থাকবে। যারা তথ্য সংগ্রহ ও তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করবেন, তাদের বোর্ডে নিবন্ধিত হতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এছাড়াও সভায় ‘জয়িতা ফাউন্ডেশন আইন, ২০২৩’র খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।