স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষে সরকারি, বেসরকারি সব শিল্প কারখানার প্রক্রিয়া ও উদ্ভাবনী তথ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত দেশীয় প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির গোপনীয় তথ্যের সুরক্ষা প্রয়োজন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রস্তুত করা 'ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৩'-এর নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ আইনটি উপস্থাপন করেন।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষে সরকারি, বেসরকারি সব শিল্প কারখানার প্রক্রিয়া ও উদ্ভাবনী তথ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত দেশীয় প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির গোপনীয় তথ্যের সুরক্ষা প্রয়োজন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে 'ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৩'-এর খসড়া প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এ খসড়া আইনের বিষয়ে গত ১৭ এপ্রিল ২০২২ তারিখে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়।
পরে একাধিক সভা, কর্মশালা, ওয়েবসাইটে প্রদর্শনের মাধ্যমে সর্বসাধারণের মতামত গ্রহণ করা হয়।
'ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৩'-এর খসড়া পরিমার্জনের পর চূড়ান্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের 'বাংলাভাষা বাস্তবায়ন কোষে (বাবাকো)' প্রমিত করা হয়।
পরবর্তী সময়ে অংশীজনদের মতবিনিময়ের মাধ্যমে আইনটির খসড়া পুনরায় পরিমার্জন করা হয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের 'আইনের খসড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মতামত প্রদান সংক্রান্ত কমিটি' খসড়া আইনটি মন্ত্রিসভা-বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করে।
এ আইনটির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
উল্লেখ্য, দেশের নাগরিকদের স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মতো দেশের সঙ্গে পর্যালোচনা করে বাংলাদেশের উপাত্ত সুরক্ষা আইন ২০২৩ আইনটি করা হয়েছে।