দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে গাজীপুর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও মহিলা লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি। তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ভোট করার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক ডাকসুর ভিপি ও সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান।
সোমবার রাতে যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আখতারুজ্জামান নিজেই। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বমানের নির্বাচন উপহার দিতে মনোনয়ন বঞ্চিতদের সুযোগ করে দিয়েছেন। তিনি প্রার্থীদের সুযোগ করে দিয়েছেন জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এবং এলাকার ভোটারদের আগ্রহকে প্রাধান্য দিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছি। জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা এবং সাবেক পূবাইল ইউনিয়ন নিয়ে গাজীপুর-৫ নির্বাচনি এলাকায়। এই আসনে ২০০১ সালে সংসদ সদস্য ছিলেন বিএনপির ফজলুল হক মিলন। এরপর থেকে আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে। এর আগে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিটে এই আসনে এমপি হন সাবেক ডাকসু ভিপি ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আখতারুজ্জামান।
গত তিনটি নির্বাচনে এই আসন থেকে সংসদ নির্বাচিত হয়ে আসছেন শহিদ ময়েজউদ্দিন কন্যা মেহের আফরোজ চুমকি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে তিনি প্রতিমন্ত্রীও হয়েছিলেন। এবারও তিনি দলীয় টিকিট পেয়েছেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও জয়ের বিষয়ে আশাবাদী চুমকি। তিনি যুগান্তরকে বলেন, জনগণ-কর্মী যার সঙ্গে আছে তার আবার ভয় কিসে? করোনাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জণগনের সুখে দুঃখে আমি পাশে ছিলাম, আছি ও থাকব। গত ১৫ বছর জনগণের সঙ্গে ছিলাম তখন তো কাউকে দেখিনি। তাই আবারও বলছি জয়ের ব্যাপারে টেনশন করি না। আমি জনগণ-কর্মী নিয়ে চলি। তাই জয় আমার আবশ্যম্ভাবী।
তবে দুই হেভিওয়েটকে নির্বাচনি মাঠে পেয়ে জমে উঠেছে নির্বাচন। গাজীপুর-৫ নির্বাচনি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে নেতাকর্মীদের উৎসাহ উদ্দীপনা। কেউ বলছেন এবার আখতারুজ্জামান জয়ী হবেন। কারণ উনার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার অনেকটা পিছিয়ে পড়েছিল। এবার গাজীপুর-৫ আসন থেকে তিনিই এমপি হবেন। বহু দিন ধরে এলাকাবাসী তার নেতৃত্ব মিস করছে।
অন্যদিকে রাজনীতিতে উজ্জ্বল পারিপারিক পটভূমি ও ১৫ বছর ধরে সংসদ সদস্য থেকে এলাকার উন্নয়ন করায় চুমকির রয়েছে শক্ত ভিত্তি। তার সমর্থকরা বলছেন, জনগণ নৌকার প্রার্থীকে বেছে নিতে ভুল করবে না।