দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ব্যয়ের উৎস না জানালে এবং ব্যয়সীমা অতিক্রমকে দুর্নীতিমূলক অপরাধ গণ্য করে প্রার্থীর দুই থেকে সাত বছর জেল হতে পারে। ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রার্থীর ব্যয়সীমা ২৫ লাখ টাকা ও ভোটারপ্রতি সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা ১০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তবে প্রার্থীরা নির্বাচনী ব্যয় কোত্থেকে কী উপায়ে করবেন তা কমিশনকে জানাতে হবে। একই সঙ্গে নির্বাচনের পর জমা দিতে হবে ব্যয়ের হিসাবও।
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এক নির্দেশনায় বিষয়টি প্রার্থীদের অবহিত করতেও বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে- প্রার্থী ইসি নির্ধারিত পরিমাণের অধিক খরচ করলে তা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের লঙ্ঘন হবে। নির্বাচনী ব্যয়ের সম্ভাব্য উৎসের বিবরণী মনোনয়নপত্রের সঙ্গে অথবা নির্বাচনী ব্যয়ের রিটার্ন ফল প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে দাখিল না করলে বা এ সংক্রান্ত নিয়মাবলি পরিপালন না করলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে। এ ছাড়া দাখিলকৃত বিবরণীতে বর্ণিত উৎস ব্যতীত অন্য কোনো উৎস থেকে নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহ করলে বা নির্বাচনী এজেন্ট ব্যতীত অন্য কারও মাধ্যমে অর্থ খরচ করলে নির্বাচনী ব্যয়ের সীমা অতিক্রম করলে ন্যূনতম দুই বছর ও অনধিক সাত বছরের কারাদণ্ডে এবং অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হতে পারেন। নির্দেশনায় প্রার্থীদের ব্যয়ের উৎসও বেঁধে দিয়েছে ইসি।
এদিকে নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির মতো পরিষেবাগুলোর বিল পরিশোধ না করলে বাতিল হয়ে যাবে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নিশ্চিত করার জন্য গতকাল নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসব পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাসমূহের স্থানীয় দপ্তর থেকে প্রতিনিধি পাঠানোর জন্যও নির্দেশনা দিতে হবে। মনোনয়নপত্র পরীক্ষার সময় তাদের প্রদত্ত তথ্য বিবেচনায় নিতে হবে।