স্ত্রী বাসন্তীকে (২৩) জীবন থেকে সরিয়ে ফেলতে বিষাক্ত সাপের কামড় খাইয়ে স্ত্রী এবং একরত্তি (২) নামের মেয়েকে খুনের অভিযোগ উঠেছে গণেশ পাত্র নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। স্ত্রী-কন্যার শয়নকক্ষে গোপনে গোখরো ছেড়ে দিয়েছিলেন গণেশ। রাতে ঘুমিয়ে থাকার সময় সেই সাপের ছোবলে মা ওে শিশু কণ্যার মৃত্যু হয়।
উড়িষ্যার গঞ্জাম জেলায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । ২০২০ সালে তাদের বিয়ে হয়। দেবস্মিতা নামে তাদের দুই বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
গত (৭ অক্টোবর) ঘর থেকে তাঁর স্ত্রী বাসন্তী এবং কন্যা দেবস্মিতার দেহ উদ্ধার হয়। শয়নকক্ষ থেকে গোখরো সাপটিও উদ্ধার হয়। এই ঘটনার পর শ্বশুরবাড়ি এবং গ্রামবাসীদের কাছে গণেশ দাবি করে, গোখরোর ছোবলেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানের। দায়ের হয় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা। কিন্তু মেয়ে এবং নাতনির মৃত্যুতে সন্দেহ প্রকাশ করেন বাসন্তীর বাপের বাড়ির লোকজন। বাসন্তীর বাবা জামাইয়ের বিরুদ্ধে মেয়ে এবং নাতনিকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার প্রায় এক মাস পর তদন্তে নামে পুলিশ।
বার বার জেরার মুখে ভেঙে পড়ে নিজের অপরাধ স্বীকার করে গণেশ। স্ত্রীর প্রতি দীর্ঘদিনের ক্ষোভ জমতে জমতে তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করেন অভিযুক্ত স্বামী। এক ব্যক্তির কাছ থেকে বিষাক্ত কোবরা সাপ কিনে এনে সাপের ছোবল খাইয়ে স্ত্রী এবং মেয়েকে খুনের পরিকল্পনা করেন গণেশ। সেই পরিকল্পনা মত গত ৬ অক্টোবর ওই লোককে মিথ্যা বলে তাঁর কাছ থেকে একটি বিসাক্ত কোবরা সাপ কিনে বাড়িতে আনেন তিনি। রাতে মেয়েকে নিয়ে ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন স্ত্রী বাসন্তী। সেই সময়ে সাপটিকে ঘরে ছেড়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয় গণেশ।