বুধবার আরও একবার আলোচনায় বসেছিলেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। সেখানে আবার রাশিয়া দুটি শর্ত রাখে। সেই শর্তগুলি ইউক্রেন মেনে নিলে বন্ধ হতে পারে যুদ্ধ।
কিভ ইন্ডিপেন্ডেন্টের দাবি, যদি ইউক্রেন নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গাাইজেশন বা (NATO) সদস্য হওয়ার আশা পরিত্যাগ করে এবং নিজেদের সশস্ত্র বাহিনীকে সীমাবদ্ধ রাখতে রাজি হয়, তবেই রাশিয়া যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করবে। এবং ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেবে পুতিনের দেশ।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউক্রেনের উপরে আক্রমণ চালিয়ে রাশিয়া নিজেদের শক্তি জাহির করতে সক্ষম হলেও, দেশের অর্থনীতি ক্রমশ ভেঙে পড়ছে। একের পর এক দেশ আর্থিক অনুদান, তহবিল বন্ধ করায় একদিকে যেমন অর্থনীতিতে ধস নেমেছে, তেমনই আবার হেগের আন্তর্জাতিক আদালতের পক্ষ থেকে রাশিয়াকে যথাসম্ভব শীঘ্রই ইউক্রেনের উপরে সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যুদ্ধের ২২তম দিনেও ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা অব্যাহত। মারিউপোলে থিয়েটার হলে গোলাবর্ষণ করে চলেছে পুতিন- সেনা। রুশ হামলার হাত থেকে বাঁচতে ওই থিয়েটার হলে আশ্রয় নিয়েছিলেন হাজারখানেক মানুষ। ধ্বংসস্তূপের নীচে বহু মানুষের চাপা পড়ে রয়েছেন। বহু মারা গিয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, এখনও দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সে চলছে আলোচনা। এমনটাই জানালেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। সামরিক, রাজনৈতিক এবং মানবিক বিষয়গুলি নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে চলছে আলোচনা।
রাজশাহীর সময়/এজেড