কন্যা সন্তানরা দিনের পর দিন তাঁর ‘মাথা ব্যথার’ কারণ হয়ে উঠছিল। চারটি কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করেতেন আমিনুদ্দিন সর্দার। শুধু ঝগড়়াতেই আটকে থাকত না চলত মারধরও। সেই কারণে নিজের চার কন্যা সন্তানকে বিষ খাইয়ে খুন করতে চেয়েছিলেন বাবা।
একজনের মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায়। মৃতের নাম রাবেয়া সর্দার(১৩)। ক্যানিং থানার বালুইঝাঁকা গ্রামের ঘটনা। বাকি দুই কন্যা সন্তান আয়েশা সর্দার ও রাচিয়া সর্দার গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত আমিনুদ্দিন সরদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, আমিনুদ্দিনের পাঁচ সন্তান। এর মধ্যে চারজনই মেয়ে। ছোট ছেলের বয়স ৭ বছর। বাকি চার কন্যা সন্তানকেই বিষ খাইয়ে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন আমিনুদ্দিন। চার কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার স্ত্রী সাইদাবানু সরদারকে বেধড়ক মারধর করতেন মাঝে মধ্যেই।
গত ১০ নভেম্বর চার কন্যা সন্তানকেই ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে বিষ খাইয়ে খুনের চেষ্টা করেছিলেন অমিনুদ্দিন। কিন্তু ছোট মেয়ে খাদিজা গন্ধের জন্য তা খায়নি। বাকিরা সকলেই ঠান্ডা পানীয় খেয়ে নেয়।
এরপরেই অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে উদ্ধার করে সাইদাবানু গ্রামের লোকদের সহযোগিতায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তিনজনকেই অবস্থার অবনতির কারণে কলকাতার ন্যাশানাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই গত কয়েকদিন চিকিৎসার পর বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় রাবেয়ার।
পুলিশের কাছে অভিযোগ স্বীকারও করেছে আমিনুদ্দিন। সে পুলিশকে জানিয়েছে, অর্থিক অবস্থা খারাপ থাকায় চারকন্যা সন্তাকে নিয়ে সে চাপের মধ্যে ছিল। তাই সে এ কাজ করেছে।
ক্যানিং থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিবছরই তারা কন্যা সন্তানদের নিয়ে সচেতনতা কর্মসূচি করে। কিন্তু ওই গ্রামে কোনও দিন করা হয়নি। এবছর তারা এই কর্মসূচি নেবে।