ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে সবথেকে মর্মান্তিক অবস্থা নারী ও শিশুদের। এই যেমন আহমেদ শাবাত, চার বছর বয়সি একটি শিশু। ইজরায়েলি বিমান হানায় ওই শিশুর দুটি পা বাদ পড়েছে। নিহত হয়েছে তারা বাবা মা। ওই শিশু বার বার বলছে আমার বাবা মাকে ফিরিয়ে দাও। আমি হাঁটতে চাই। কিন্তু যুদ্ধ তার বাবা মাকেও কেড়ে নিয়েছে। যুদ্ধ কেড়েছে তার পা দুটিকেও। শিশুর কাকা ইব্রাহিম আবু আমশা জানিয়েছেন, বাচ্চাটি বার বার বলছে আমার বাবা কোথায়? আমার মা কোথায়? কিন্তু আমরা তাকে বার বার ভোলানোর চেষ্টা করছি।
সূত্রের খবর, বিমান হানায় ওই শিশু ছিটকে পাশের বাড়িতে গিয়ে পড়ে। তার পরিবারের ১৭জন সদস্য মারা গিয়েছেন। একমাত্র ওই শিশুর দু বছরের ভাই বেঁচে আছে।
গাজায় একেবারে মৃত্যু মিছিল। বিমান হানায় একের পর এক মৃত্যু। ইজরায়েলি সংবাদপত্র ইয়েডিয়থ আহরোনোথে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি এমনই যে একটি বিল্ডিংও আর আস্ত নেই। একেবারে ধুলিস্যাত করে দেওয়া হয়েছে সবটা।
আবু আমশা জানিয়েছেন বাচ্চাদুটিকে নিয়ে এখন আমরা ত্রাণ শিবিরে রয়েছি। কারণ ফের ইজরায়েল বিমান হানা করতে পারে বলে মনে হচ্ছে।
আসলে বিমান হানায় মারাত্মকভাবে জখম হয়েছিল ওই শিশুর দুটি পা। এরপর চিকিৎসকরা তাদের চিকিৎসা শুরু করে। এরপর পা বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।
কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই করুণ যে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিও নেই। তাকে সাধারণ প্রসূতিদের যেখানে সিজার হয় সেখানেই অপারেশন করা হয়। এরপর হাঁটুর পর থেকে দুটি পাই বাদ দিতে হয়। এদিকে চিকিৎসকরাও ক্রমশ ভেঙে পড়ছেন।কারণ তাঁদের অনেকেই আহত। বা মারা গিয়েছে। যুদ্ধ কার্যত সব কেড়ে নিয়েছে। কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব সেটা বোঝা যাচ্ছে না। এদিকে শিশুদের পা বাদ দেওয়া আরও কষ্টকর। কারণ শিরা, নার্ভ এগুলো ঠিক জায়গায় চিহ্নিত করতে হয়।
এদিকে শিশুটি বার বার বলছে আমায় হাঁটতে দাও। কিন্তু একথার কোনও জবাব নেই চিকিৎসকের কাছেও। সে যাতে তার বাবা মাকে ভুলে যেতে পারে তার সব চেষ্টা করছেন পরিজনরা।