দেশে ফেরার পরদিনই পাকিস্তান ক্রিকেটের সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অধিনায়কত্ব ছাড়লেন বাবর আজম। তিনি নিজেই টুইট করে এখবর জানিয়েছেন।
পাকিস্তানের বিদায়ী অধিনায়ক বলেছেন, আমি তিন ফরম্যাট থেকেই সরে গেলাম অধিনায়ক পদ থেকেই। ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে সরে গেলাম।
বাবর লিখেছেন সোশ্যাল সাইটে, “তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে পাকিস্তানের নেতৃত্ব ছাড়ছি। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব কঠিন ছিল। তবে এটাই সঠিক সময়। নেতৃত্ব ছাড়লেও আমি পাকিস্তানের হয়ে তিন ফরম্যাটেই খেলব। নয়া অধিনায়ককে সবরকমভাবে সাহায্য করব। আমার সব অভিজ্ঞতা ভাগ করে দলের সঙ্গে ঠিক আগেরমতোই।’’
২০১৯ সালে বাবরকে পাক দলের অধিনায়ক পদে বসানো হয়েছিল। তিনি ভালই শুরু করেছিলেন। তিনি অধিনায়ক থাকাকালীন দারুণ খেলছিলেনও। কিন্তু পাক ক্রিকেটমহলের দাবি, বাবর দলের মধ্যে অশান্তির বীজ বোপন করেছিলেন। তিনি শেষদিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন ক্রিকেটারদের।
পাক দলের যখন দায়িত্ব নিয়েছিলেন, সেইসময়ের কথাও উল্লেখ করেছেন বাবর। তিনি লিখেছেন, ‘‘২০১৯ সালে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে আমাকে ফোন করা হয়েছিল। সেই ঘটনা আমার পরিষ্কার মনে আছে। আমাকে অধিনায়ক পদ দেওয়া হয়েছিল। চার বছর ধরে আমি নেতৃত্ব দিয়েছি। মাঠ ও মাঠের বাইরে অনেক ভাল-মন্দ সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। সবসময় চেষ্টা করেছি পাক ক্রিকেটকে গর্বিত করতে।’’
বাবর না সরলে তাঁকেই সরিয়ে দিতেন পাক কর্তারা। তিনি সেটি ভালই বুঝে গিয়েছিলেন। বাবর সরে যাওয়ায় রিজওয়ান দলের নেতৃত্বের দৌড়ে এগিয়ে এলেন।