পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বামীর হাতুড়ি পেটায় আয়শা বেগম (৩২) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় গুরুতর আহত গৃহবধূ বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকালে হাসপাতাল হতে নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী কাঠ মিস্ত্রী মামুন খান কে (৪০) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। স্বামীর পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে দাম্পত্য কলহের জের ধরে মামুন খান স্ত্রীর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করায় ঐ গৃহবধূর মৃত্যু ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
থানা ও নিহত গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছর ধরে এ দম্পতি তাদের তিন সন্তান নিয়ে মঠবাড়িয়া শহরের রূপনগর মহল্লায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলো। মামুন খান পেশায় একজন কাঠ মিস্ত্রী। গত দুই বছর ধরে সে একই মহল্লায় বসবাসরত তানিয়া বেগম নামে এক গৃহবধূর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এ পরকীয়ার জের ধরে মামুন ও আয়শা দম্পতির মাঝে দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলে আসছিলো। সোমবার সকালে এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হয়। এক পর্যায় মামুন খান হাতুড়ি দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে। আহত স্ত্রীর আর্ত চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে গৃহবধূকে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে গুরুতর অবস্থায় তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু ঘটে।
এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর মা মমতাজ বেগম বাদি হয়ে নিহত মেয়ের জামাই মামুন খান ও তার কথিত প্রেমিকা তানিয়া আক্তারকে আসামি করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহম্মদ নূরুল ইসলাম বাদল ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত গৃহবধূর লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর মা বাদি হয়ে জামাইসহ দুইজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রাজশাহীর সময় / এএইচ