ফ্যামিলি কার্ড ছাড়াই মিলবে চার পণ্য


, আপডেট করা হয়েছে : 14-11-2023

ফ্যামিলি কার্ড ছাড়াই মিলবে চার পণ্য

ঢাকায় ফ্যামিলি কার্ডের বাইরে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য খোলাবাজারে পণ্য বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ৩০টি ট্রাকে ন্যায্য মূল্যে চারটি নিত্যপণ্য বিক্রি হবে।

গতকাল সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দেশের সার্বিক বাজার পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ ট্রাকে ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রির এ তথ্য জানান। খাদ্য নিরাপত্তা ও বাজার স্থিতিশীল রাখতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ব্যবস্থাপনায় রয়েছে সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবি।

 

ফ্যামিলি বা পারিবারিক কার্ডের মাধ্যমে এই পণ্য বিক্রি হবে না। যাঁরা এই কার্ড পাননি, তাঁদের জন্য এই কর্মসূচি বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ।

টিসিবির ব্যবস্থাপনায় এই ট্রাক সেল থেকে একজন ক্রেতা দুই কেজি মসুর ডাল, দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি আলু ও দুই কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।

পেঁয়াজ বিক্রি হবে ৫০ টাকা কেজি, আলু ৩০ টাকা ও মসুর ডাল ৭০ টাকা। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১০০ টাকায়।

 

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আরিফুল হাসানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, প্রতিটি ট্রাকে ৩০০ মানুষের জন্য পণ্য থাকবে।

অর্থাৎ সব মিলিয়ে প্রায় ৯ হাজার ক্রেতা এসব ট্রাক থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য কিনতে পারবেন। এরপর পণ্যের জোগান বাড়লে ট্রাকের সংখ্যা বাড়ানো হবে। তবে তিনি জানান, কাল (আজ) পেঁয়াজ বিক্রি করা সম্ভব না-ও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে আরো দুই-তিন দিন লাগতে পারে।

 

ফ্যামিলি বা পরিবার কার্ড জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু ঢাকায় অনেকে থাকেন, পরিচয়পত্রে গ্রামের বাড়ির ঠিকানা ব্যবহার করার কারণে তাঁরা পরিবার কার্ড পাননি। সেই মানুষদের কথা চিন্তা করে এই উন্মুক্ত ট্রাকে পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান বাণিজ্যসচিব।

 

সংবাদ সম্মেলনে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমাতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন বাণিজ্যসচিব। তিনি বলেন, ডিম ও আলু আমদানির পর দাম কমেছে। গতকাল রবিবার পর্যন্ত ১০ হাজার ৯৫ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে। আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে দুই লাখ টন। ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে ২৫ কোটি, যদিও আমদানি হয়েছে ৬২ হাজার পিস। কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থার কারণে ডিম আমদানিতে সময় লেগেছে। এ ছাড়া চিনি, তেলসহ অন্য পণ্য আমদানিতেও জোর দেওয়া হয়েছে।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা অনুযায়ী আলুর দাম আরো কমাতে জেলা প্রশাসন থেকে একজন কর্মকর্তাকে কোল্ড স্টোরেজে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাঁর উপস্থিতিতে আলু সরকারি নির্ধারিত মূল্যে অর্থাৎ ২৭ টাকা কেজিতে পাইকারি বিক্রি হবে। এ ছাড়া হিমাগার থেকে আলু বের হবে না। খুচরা পর্যায়ে যেন তা ৩৬ টাকায় বিক্রি হয়, তা নিশ্চিত করতে পর্যবেক্ষণ করবে জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার। আরো ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে ডিমের দাম কমানো, আমদানি নয়। এখন বাজারে দাম কমে গেলে আমদানিকারকরা উৎসাহিত না-ও হতে পারেন। কিন্তু বাজারে দাম ঠিক থাকলে সেটা সমস্যা হবে না।

সরকারিভাবে যেসব পণ্য বিক্রি করা হবে, বাজারে সেসব পণ্যের দাম সম্প্রতি বেশ বেড়েছে। কোনো কোনো পণ্যের দাম সরকার বেঁধে দিলেও বাজারে তা কার্যকর হয়নি। খাদ্য মূল্যস্ফীতি সাড়ে ১২ শতাংশে উঠে গেছে।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, দাম যত দিন স্থিতিশীল না হয়, তত দিন আমদানি চলবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, যেমন—চিনি ও তেল আমদানি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]