ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় গাজায় প্রতিনিয়তই বড় হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। বর্তমানে এ উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ হাজার ৭৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি শিশু। এতে প্রতিদিন গড়ে ৩২০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারাচ্ছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।
জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনেও বলা হয়, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় প্রতিদিন গড়ে ৩২০ ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছেন।
এতে আরও বলা হয়, ‘যোগাযোগ ও পরিষেবা কাঠামো ভেঙে পড়ায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে আহত ও নিহতের আপডেট জানাতে দেরি করছে উত্তর গাজার হাসপাতালগুলো।
সবশেষ গত শুক্রবার (১০ নভেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় গাজায় জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা জানিয়েছিল, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ১১ হাজার ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, ইসরাইলি হামলা ও জ্বালানি সংকটের কারণে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার আল-শিফা ও আল-কুদস হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। এ দুটি ছল গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল। এতে উপত্যকাটিতে একরকম মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আল-শিফা হাসপাতালে পাঁচ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে অপরিণত দুই নবজাতকও রয়েছে। এই হাসপাতালে শতাধিক মরদেহ পড়ে আছে। হামলার কারণে এসব মরদেহ দাফন করার মতো পরিস্থিতি তাদের নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস গাজার হাসপাতালগুলোর ‘ভয়াবহ ও বিপজ্জনক’ পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করে বলেছেন, ‘এখানে ইসরাইলি হামলায় নবজাতকসহ বহু রোগী মারা যাচ্ছে।’