রাজশাহী নগরীর বায়ুতে অতি ক্ষতিকর বস্তুকণা পি.এম ২.৫ নির্ধারিত ঘণমাত্রার চেয়ে বেশি


মঈন উদ্দীন: , আপডেট করা হয়েছে : 15-03-2022

রাজশাহী নগরীর বায়ুতে অতি ক্ষতিকর বস্তুকণা  পি.এম ২.৫ নির্ধারিত ঘণমাত্রার চেয়ে বেশি

রাজশাহী মহানগরীর বায়ুতে অতি ক্ষতিকর বস্তুকণা পি.এম ২.৫ নির্ধারিত ঘণমাত্রার চেয়ে বেশি পাওয়া গেছে। নগরীর ৫টি জায়গার বায়ু পরীক্ষা করে তিনটি জায়গায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে। অন্য দুই স্থানে অতি ক্ষতিকর বস্তুকণার উপস্থিতি নির্ধারিত ঘণমাত্রায় আছে। বরেন্দ্র পরিবেশ উন্নয়ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে বারিন্দ এনভায়রনমেন্টের সহযোগিতায় পরিবেশ বান্ধব শহর রাজশাহীর বায়ুতে বিদ্যমান বস্তকণার পরিমাণ করা হয় সম্প্রতি সময়।

বায়ুতে বিদ্যমান যেসব বস্তুকণা থাকে সেগুলোর কোনগুলো বেশি ক্ষতিকর। আবার অন্যগুলো কম ক্ষতিকর। এসব বস্তুকণা পার্টিকুলেট ম্যাটার (পি.এম) ২.৫ এবং পি.এম ১০ নির্ণয় করা হয়। অতি ক্ষতিকর বস্তুকণাগুলোকে পি.এম ২.৫ দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। তুলনামূলক কম ক্ষতিকর বস্তুকণা পি.এম ১০ দ্বারা নির্নয় করা হয়।

রাজশাহী মহানগরীর শহিদ কামারুজ্জামান চত্বরে পরীক্ষায় পি.এম ২.৫ পাওয়া যায় ৭৩ মাইক্রগ্রাম/ ঘনমিটার, এবং পি.এম ১০ পাওয়া যায় ৮৪ মাইক্রোগ্রাম/ ঘনমিটার। লক্ষ্মীপুর মোড়ে পি.এম ২.৫ পাওয়া যায় ৭১ মাইক্রগ্রাম/ ঘনমিটার, এবং পি.এম ১০ পাওয়া যায় ৮০ মাইক্রোগ্রাম/ ঘনমিটার। সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে পি.এম ২.৫ পাওয়া যায় ৫৫ মাইক্রগ্রাম/ ঘনমিটার এবং পি.এম ১০ পাওয়া যায় ৬৬ মাইক্রোগ্রাম/ ঘনমিটার। তালাইমারী মোড়ে পি.এম ২.৫ পাওয়া যায় ৭৬ মাইক্রগ্রাম/ ঘনমিটার এবং পি.এম ১০ পাওয়া যায় ৮৫ মাইক্রোগ্রাম/ ঘনমিটার। বিসিক মঠপুকুরের মোড়ে পি.এম ২.৫ পাওয়া যায় ৫৬ মাইক্রগ্রাম/ ঘনমিটার, এবং পি.এম ১০ পাওয়া যায় ৬৮ মাইক্রোগ্রাম/ ঘনমিটার।

পরীক্ষায় নেতৃত্ব দেয় প্রকৌশলী জাকির হোসেন খান (পি.এইচ.ডি.)। উনাকে সহযোগিতা করেন অলি আহমেদ (পি.এইচ.ডি. গবেষক), শামসুর রাহমান শরীফ, ইফাত আরা। বায়ু পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্য ছিল শুষ্ক মৌসুমের শেষে রাজশাহীর বায়ুতে বিদ্যমান বস্তকনা পর্যবেক্ষণ।

কাঁচ, ইটের কণা, ধোঁয়া বা ধুলা, এগুলোকে পিএম ২.৫ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পিএম ২.৫ হচ্ছে এমন এক ধরনের কঠিন বা জলীয় অতি সূক্ষ্মকণা যা আড়াই মাইক্রোন বা তার নিচে চওড়া। এক ইঞ্চি সমান ২৫০০০ মাইক্রোন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, এ কণা একটা চুল যতটা চওড়া তার ত্রিশ ভাগের এক ভাগ সমপরিমাণ চওড়া। ফলে এটা এমন সূক্ষ্মকণা যা খালি চোখে দেখা যায় না।

এ কণাগুলো এত সূক্ষ্ম যে খুব সহজেই প্রশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসের গভীরে পৌঁছে যায়। সেখান থেকে হৃৎপিণ্ড হয়ে রক্তের মাধ্যমে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। তারপর শ্বাসতন্ত্রের নানাবিধ রোগ যেমন হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, নাক দিয়ে পানি পড়া থেকে শুরু করে এমন ছোটখাটো অসুখ, ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিসসহ হার্ট এ্যাটাক এবং ক্যান্সারের মতো প্রাণঘাতী রোগ সৃষ্টি করতে পারে।

রাজশাহীর সময় / এম জি


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]