গত ১৫ বছরে বদলে গেছে বাংলাদেশ। এই অগ্রযাত্রায় কেউ বাধা দিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বিজয় সরণীতে ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য’ ও ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ এর উদ্বোধনীতে এ কথা জানান তিনি।
২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বিজয় দিবস প্যারেডে পদর্শিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি মুর্যাল সবার নজর কাড়ে। প্যারেড স্কোয়ারেই মুর্যালের প্রশংসা করে এর আদলে ভাস্কর্য নির্মাণে সেনাপ্রধানকে নির্দেশনা প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্ববধানে ২০২৩ সালের এপ্রিলে শুরু হয় জাতির পিতার ভাস্কর্য নির্মাণের কাজ, যা পাঁচ মাসেই শেষ হয়। ভাস্কর্যটি ২১ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৯ ফুট প্রস্থের। যা নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে ফাইবার গ্লাস।
ভাস্কর্যটিকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হয়েছে মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ, যেখানে ৭টি প্রাচীরের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ভাষা আন্দোলন, শিক্ষা আন্দোলন, ছয় দফার ইতিহাস, গণঅভ্যুত্থান ও মহান মুক্তিযুদ্ধকে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সরকারপ্রধান বলেন, মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য একটি ইতিহাস হয়ে থাকবে। একসময় বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্রপীড়িত থাকলেও সব দূরে সরিয়ে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশ এগিয়ে গেছে। নতুন প্রজন্মই স্মার্ট বাংলাদেশের সৈনিক হিসেবে গড়ে উঠবে।