যুবতী ও বৃদ্ধ প্রেমিক যুগলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার


সুমাইয়া তাবাস্সুম: , আপডেট করা হয়েছে : 11-11-2023

যুবতী ও বৃদ্ধ প্রেমিক যুগলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

প্রতিবেশী ১৯ বছরের যুবতী নাতনীর ‘প্রেমে পড়েছিলেন’ ৬৫ বছরের বৃদ্ধ। কিন্তু, দু’জনেই বুঝতে পারেন সমাজ তাঁদের সম্পর্ক মানবে না। দুই পরিবারেই অশান্তি চলছিল।

শনিবার জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি পুর এলাকায় ৬৫ বছরের ওই বৃদ্ধ এবং ১৯ বছরের যুবতীর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গেল একই গাছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধূপগুড়ির বাসিন্দা ওই বৃদ্ধের সঙ্গে স্থানীয় এক তরুণীর ‘সম্পর্ক’ নিয়ে অশান্তি হয় পরিবারে। কারণ, বেশ কিছু দিন আগে ষাটোর্ধ্ব ওই বৃদ্ধ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অসমবয়সি ওই ‘নাতনি’র সঙ্গে। পরিবারের বাধা পেয়ে দিন দুই আগে দু’জনে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েও গিয়েছিলেন। নিখোঁজ থাকার পর শনিবার সাতসকালে দু’জনকেই মৃত অবস্থায় দেখতে পান বাড়ির লোকজন। বাড়ির উঠোনে একটি গাছে বৃদ্ধ এবং তাঁর ‘প্রেমিকাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান ওই বৃদ্ধের ছেলে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকাবাসী জড়ো হন সেখানে। খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দু’টি ময়নাতদন্তের পাঠিয়েছে হাসপাতাল মর্গে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, সমাজ এবং পরিবারের ‘ভয়ে’ আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন ওই দু’জন। দুই পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত কোনও অভিযোগ দায়ের না হলেও স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

মৃত যুবতীর পরিবারের এক সদস্যা জানান, এর আগেও ওই বৃদ্ধের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন তাঁদের মেয়ে। তাঁর কথায়, এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় কীর্তন শুনতে যেত দু’জনে। সেখান থেকে ঘনিষ্ঠতা। আগেও এক বার মেয়ে ওই ব্যক্তির সঙ্গে চলে গিয়েছিল। সে বার সবাই মিলে ফিরিয়ে আনি। কিন্তু আবার দু’দিন আগে মেয়ে বাড়ি থেকে চলে যায়। কোনও খোঁজ না পেয়ে থানায় অভিযোগ করেছিলাম। শনিবার (১১নভেম্বর) দু’জনকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া দেখা যায়।’’

অন্য দিকে, মৃত বৃদ্ধের ছেলে বলেন, ‘‘মেয়েটি কয়েক দিন আগেও আমাদের বাড়ি এসেছিল। ওর পরিবারের লোক জন এসে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। পরে বাবা আর ওই মেয়েটি দু’জনেই নিখোঁজ ছিল দু’দিন। গতকাল শুক্রবার রাতে বাড়ির সামনে দু’টি সুপারি গাছের মাঝে বাঁশ লাগিয়ে দু’জনে আত্মহত্যা করেছে।’’

যদিও আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনও কারণ, তা এখনও স্পষ্ট করেনি পুলিশ। এই ঘটনা প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলার ডিএসপি (অপরাধ) বিক্রমজিৎ লামা বলেন, ‘‘অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। তবে দুই পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।’’


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]