দেবরের সাথে মামীর পরকীয়া ! দেখে ফেলায় শিশুকে হত্যা চেষ্টায় মামী গ্রেফতার


অনলাইন ডেস্ক : , আপডেট করা হয়েছে : 15-03-2022

দেবরের সাথে মামীর পরকীয়া ! দেখে ফেলায় শিশুকে হত্যা চেষ্টায় মামী গ্রেফতার

পরকীয়া প্রেমে বাঁধা হয়ে দাঁড়ানোয় সাতক্ষীরার চরবালিথা গ্রামে সাত বছরের এক শিশুর চোখ নষ্ট করে দিয়েছে মামী ও তার প্রেমিক দেবর। মামী রানী বেগম ও তার দেবরকে আটক করেছে পুলিশ ।

প্রাথমিক ভাবে আটক দেবর এবং ভাবী তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মূমূর্ষ অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।  

আহত শিশুটির নাম আলিফ ফরহাদ (০৭)। সে চরবালিথা গ্রামের মঈনুদ্দীন সরদারের ছেলে। আটককৃত রানী বেগম (২২) চরবালিথা গ্রামের আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী। তারা দু জনই নির্যাতিত শিশুটির আপন মামী এবং তার ছোট দেবর আশিকুজ্জামান। 

শিশুটির পরিবারের সদস্যরা জানান, দুই বছর আগে শিশুটির মা শারমীন সুলতানা মারা যাওয়ার পরে শিশু পুত্র আলিফ তার নানী সকিনা খাতুনের কাছে থাকত। সৎ মায়ের অত্যাচার ছেলেটাকে যেন সইতে না হয়, সে জন্য তার নানী তাকে কাছে রেখে পড়াশুনা করাতো তার বাবা। এদিকে স্বামী ঢাকায় চাকুরীর সুবাদে শিশুটির মামী রানী বেগম তার দেবরের সাথে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। 

রোববার দুপুরে মামীর ঘরে মামী ও ছোট মামাকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে শিশু আলিফ। সে তার নানীকে বিষয়টি জানাতে চাওয়ায় প্রেমিক যুগল তাদের ভাগিনা শিশু আলিফকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমে তার চোখ দুটি খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। যাতে সে কথা বলতে না পারে সেজন্য মুখও খুঁচিয়ে জখম করা হয়। শেষে মৃত ভেবে ফেলে আসে পাশের মরিচ্চাপ নদীর পাড়ে।

সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুরে দেবহাটা উপজেলার চরবালিথা এলাকায় মরিচ্চাপ নদীর পাঁড় থেকে ক্ষত-বিক্ষত ওই শিশুকে মূমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা। পরে তারা তাকে দ্রুত সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পর সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে বিকালে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে শিশুটি চোখ বাঁচাতে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজিব খান জানান, মামীর পরকীয়া প্রেমের ঘটনা দেখে ফেলায় শিশু আলিফকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় পাষণ্ড মামী ও তার প্রেমিক দেবরকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের দোষ স্বীকার করেছে। শিশু আলিফের পিতা মহি উদ্দীন বাদি হয়ে দেবহাটা থানায় শিশু নির্যাতন আইনে মামী রানী বেগম ও তার পেমিক দেবর আশিকুজ্জামানকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।

রাজশাহীর সময় / জি আর


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]