অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে মৌমাছির চাক বসাচ্ছে বিএসএফ


আন্তর্জাতিক ডেস্ক : , আপডেট করা হয়েছে : 10-11-2023

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে  সীমান্তে মৌমাছির চাক বসাচ্ছে বিএসএফ

সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে অভিনব পন্থা অবলম্বন করছে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)। এবার সীমান্ত সুরক্ষিত করতে মৌমাছির সাহায্য নিতে চলেছে বাহিনীটি। জানা গেছে, সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্ত এলাকা জুড়ে মৌমাছির চাক বসাচ্ছে তারা। যাতে কোনো ব্যক্তি অনুপ্রবেশ করতে এলে মৌমাছির আক্রমণের মুখে পড়তে হয় তাকে।

ভারতের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর উন্নয়নের জন্য ‘ভাইব্রেন্ট ভিলেজ’ প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই প্রকল্পের আওতাতেই মৌমাছি প্রতিপালনের প্রচার চালানো হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রামে।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, এলাকার উন্নয়নে বড় ভূমিকা পালন করবে এই মৌমাছির চাক। বিভিন্ন জায়গায় মৌমাছির বাক্স বসানো হবে পরিকল্পিতভাবে। এই মৌমাছির বাক্সগুলোর দেখভালের দায়িত্বে থাকবে স্থানীয়রা। এখান থেকেই মধু সংগ্রহ করতে পারবেন তারা। তাতে আর্থিক ভাবে লাভবান হবেন তারা। পাশাপাশি বিএসএফের আশা, এসব এলাকায় এই মৌমাছির মাধ্যমেই অনুপ্রবেশ ঠেকানো সম্ভব হতে পারে।

তবে সীমান্তের বেড়ার কাছে কীভাবে বসানো হবে বাক্স? তাতে কীভাবেই বা হবে মৌমাছি প্রতিপালন? জানা গেছে, মৌমাছির বাক্সগুলোর সামনে এমন কিছু ফল ও ফুলের গাছ লাগানো হবে, যা মৌমাছিদের পছন্দের। তাছাড়া বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে বাক্সগুলোকেও এমনভাবেই বসানো হবে, যাতে মৌমাছিরা আকৃষ্ট হয়।

এই পদক্ষেপের ফলে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষজনের আয়ের একটি নতুন উৎস খুলে যাবে। এদিকে বিএসএফের পাশাপাশি এই মৌমাছিগুলোও সীমান্তের প্রহরী হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে এই মৌমাছি প্রতিপালন কতটা কার্যকরী হয় এখন তাই দেখার অপেক্ষা।

এদিকে, এখনই ভারতের দক্ষিণবঙ্গের সীমান্তে এই মৌমাছির বাক্স বসানো হচ্ছে না। তবে যে ২০টি গ্রামে তা বসানোর পরিকল্পনা হয়েছে, তা সফল হলে দক্ষিণবঙ্গেও এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা হতে পারে বলে জানা গেছে। এই আবহে বিএসএফের এই অভিনব উদ্যোগে অনুপ্রবেশ কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]