প্লাস্টিক সার্জারি ক্লিনিকে হ্যাকারদের হামলা। ফাঁস হয়ে গেল ক্লিনিকে আসা রোগীদের নগ্ন ছবি, ব্যক্তিগত তথ্যাদি। অনলাইনে সেই সব ছবি ও তথ্য প্রকাশ করে দেয়ার পর, তীব্র বিতর্কের মুখে পড়েছে ওই প্লাস্টিক সার্জারি ক্লিনিক।
অনেকেই বলছেন, ওই ক্লিনিকে রোগীদের তথ্য সুরক্ষিত রাখার জন্য কার্যত কোনও ব্যবস্থাই ছিল না। এই বিষয়ে সরকার যে প্রোটোকল মেনে চলতে বলে, তা মানা হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। ফলে, সহজেই রোগীদের ওই সকল ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে হ্যাকারদের কাছে। তথ্য ফাঁসের শিকার হওয়া ব্যাক্তিদের মধ্যে অধিকাংশই নারী বলে জানা গিয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে।
লাস ভেগাসের ‘হ্যানকিনস অ্যান্ড শন প্লাস্টিক সার্জারি অ্যাসোসিয়েটস’ বেশ কিছু রোগীর সম্পূর্ণ নগ্ন ছবি এবং বিভিন্ন তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে। সাধারণত, প্লাস্টিক সার্জারি ক্লিনিকগুলিতে রোগীদের অস্ত্রোপচারের আগের ছবি এবং অস্ত্রোপচারের পরের ছবি তোলা হয়। কতটা বদলে গিয়েছে ওই নির্দিষ্ট অঙ্গ, তা দেখাতেই এই ছবি তোলা হয়। জানা গিয়েছে, বেশ কিছু মহিলার সেই ধরণের ছবি ফাঁস হয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এছাড়া, তাদের নাম, সোশ্যাল সিকিওরিটি নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বরগুলি এখন ঘুরে বেরাচ্ছে ইন্টারনেটের আনাচে-কানাচে।
এর জেরে বহু মহিলাই এখন ‘হ্যানকিনস অ্যান্ড শন প্লাস্টিক সার্জারি অ্যাসোসিয়েটস’-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। তাদের অভিযোগ সংস্থাটি তাদের গোপন তথ্য সুরক্ষিত রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। রোগীদের তথ্যাদি কোনও এনক্রিপশন ছাড়াই স্টোর করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এই অবস্থায় এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন ফেডেরাল তদন্ত সংস্থা এফবিআই। এই ঘটনার শিকার হওয়া মহিলারা ন্যায় বিচার চাইছেন। তারা বলছেন, ক্লিনিক থেকে তথ্য ফাঁস হবে না, এই ভরসাতেই তারা তাদের ব্যক্তিগত তথ্য ও ছবিগুলি স্টোর করতে দিয়েছিলেন। কিন্তু, সেগুলি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে বলে মনে করছেন।