ডিসি-এসপিদের যে বার্তা দিলেন সিইসি


অনলাইন ডেস্ক: , আপডেট করা হয়েছে : 10-11-2023

ডিসি-এসপিদের যে বার্তা দিলেন সিইসি

নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী ডিসি-এসপিদের উদ্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমাদের কিন্তু আপনাদের সহায়তা নিয়ে কাজ করতে হবে। আগের নির্বাচনগুলোতে প্রত্যাশিত সহযোগিতা পুরোপুরি পেয়েছি। সেদিক থেকে আশ্বস্ত বোধ করছি, যদিও জাতীয় নির্বাচনের ডাইমেনশন অনেক বেশি।

রাজধানীর নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) শুক্রবার তিনি বিভাগীয় কমিশনার, ডেপুটি কমিশনার, পুলিশ সুপার ও আঞ্চলিক নির্বাচনি কর্মকর্তাদের এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন। 

ডিসি-এসপিদের উদ্দেশে সিইসি আরও বলেন, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের উদ্দেশে বলি- দায়িত্ববোধ থেকে নির্বাচনের গুরুত্ব অনুধাবন করবেন। একই সঙ্গে সুশৃঙ্খল নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনে ক্ষমতা ও শক্তি প্রয়োগ করবেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমরা দেখতে চাই প্রজ্ঞা, শক্তি, অভিজ্ঞতা, জ্ঞান দিয়ে আপনারা এমনভাবে দায়িত্ব পালন করবেন যেন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়। আমাদের বার্তা হচ্ছে, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল হতে হবে। সুশৃঙ্খল আমি করাতে পারবো না। আপনারা পারবেন।

‘ডিসি-এসপিরা কিন্তু ভোটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের কাজের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে। দায়িত্ববোধ থেকে ক্ষমতা ও শক্তি প্রয়োগ নয়, ক্ষমতা ও শক্তি প্রয়োগ করবেন যদি প্রয়োজন হয়। তবে প্রথমে দায়িত্বটা অনুধাবন করার চেষ্টা করবেন, যদি গণতন্ত্র, প্রজাতন্ত্র বুঝে থাকেন। সেটাকে বাঁচিকে রাখতে হলে আক্ষরিক অর্থে যদি দায়িত্ব বাস্তবায়ন করতে না পারি তাহলে জাতি হিসেবে আমরা ব্যর্থ হব’-যোগ করেন সিইসি।

তিনি আরও বলেন, ভোটের দিন পুরো জাতি, ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকবে, ভেতরে সিল মারার চেষ্টা হলে কেউ না কেউ কিন্তু সেটার ছবি তুলে ফেলবে, ভিডিও করে ফেলবে। সেগুলো যখন প্রচার হয়ে যাবে, তখন আমাদের নিরপেক্ষতাও প্রশ্নবিদ্ধ হবে। আমাদের ব্যর্থতা, অদক্ষতা প্রতিফলিত হবে।

কারচুপির বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে সিইসি আরও বলেন, যদি কোনো ধরনের কারচুপির প্রচেষ্টা চালানো হয় এবং তা গণমাধ্যমে আসে, তাহলে আমাদের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠবে। সে ক্ষেত্রে আমাদের ব্যর্থতা ও দক্ষতার অভাব ফুটে উঠবে। 

নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছ ভোট করতে চায় জানিয়ে সিইসি বলেন, ইসির দায়িত্বের একটি বিষয় হচ্ছে নির্বাচনি প্রক্রিয়া দৃশ্যমান করে স্বচ্ছতা সৃষ্টি করা। স্বচ্ছতা নিশ্চিত হলে অপপ্রচার ঢাকা পড়ে যায়। স্বচ্ছতা বলতে অনাচার হলেও স্বচ্ছতা এবং সদাচার হলেও স্বচ্ছতা সৃষ্টি করতে হবে।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, গণতন্ত্রের চেয়ে নির্বাচনের গুরুত্ব বেশি। নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের বাহন এবং প্রাণ। সেজন্য গুরুত্ব অনুধাবন করে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমাদের মূল চাওয়াটা হচ্ছে ভোটাধিকার যেন ব্যাহত না হয়। ভোটাররা যেন ভোট দিতে পারেন। এই জিনিসটা আমরা দেখতে চাই।

দ্বাদশ নির্বাচনের দিকে দেশ-বিদেশ চেয়ে আছে জানিয়ে সিইসি বলেন, নির্বাচন নিয়ে পুরো দেশ মাতোয়ারা হয়ে আছে। প্রতিদিন পক্ষে-বিপক্ষে বক্তব্য হচ্ছে। একটা ডাইমেনশনও পেয়ে গেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা বাংলাদেশের আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন দেখতে আগ্রহী।

অনুষ্ঠানে অন্য চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, ইটিআই মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ৩২ জেলার ডিসি, এসপি, পুলিশ কমিশনার, বিভাগীয় কমিশনারসহ মাঠ প্রশাসনের ১১৪ জন কর্মকর্তা দুদিনের এ আবাসিক প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন। এর আগে প্রথম ধাপের কর্মসূচিতে গত ১৪ ও ১৫ অক্টোবর অন্যান্য জেলার ডিসি, এসপি এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের পুলিশ কমিশনার ও বিভাগীয় কমিশনারদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়। যুগান্তর।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]