হার্ট সুস্থ রাখতে নিয়মিত যেমন স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে তেমনই শরীরচর্চাও করতে হবে নিয়ম মেনে। স্বাস্থ্যকর খাবার না খেলে ব্লকেজের সম্ভাবনা অনেক বেশি বেড়ে যাবে। যদি ধমনীতে কোলেস্টেরল জমতে শুরু করে তাহলে রক্তপ্রবাহে বাধা পায় আর এখান থেকে হার্টের উপর চাপ অনেক বেশি পড়ে।
যে কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। শরীরে ভাল আর খারাপ এই দুই রকম কোলেস্টেরল থাকে। খারা কোলেস্টেরল বাড়তে শুরু করলেই সেখান থেকে একাধিক শারীরিক সমস্যা আসতে পারে। এমনকী রক্ত সঞ্চালনও বাধাপ্রাপ্ত হয়। অতিরিক্ত ক্যালোরি, মিষ্টি, মটন, তেলেভাজা এসব বেশি খেলে কোলেস্টেরল বাড়ে। শীতে হৃদরোগের সম্ভাবনাও অনেক বেশি বাড়ে। তাই এই সময় সুস্থ থাকতে এই কয়েকটি ফল খেতেই হবে।
লেবু- শীতকালে রোজ যে কোনও একটা লেবু খেতেই হবে। এই সময় বাজারে কমলা, মুসাম্বি এসব অনেক পাওয়া যায়। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যে কোনও ফল শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি রুখতে রোজ একটা করে এই ফল খেতে হবে। শীতের দুপুরে একটা করে কমলালেবু খেতে পারলে খুবই ভাল।
আপেল- শীতে বাজারে প্রচুর আপেল পাওয়া যায়। রোজ নিয়ম করে আপেল খেলে কমে স্ট্রোকের ঝুঁকি। কারণ আপেল আমাদের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। আপেলের খোসায় ফ্ল্যাভোনয়েড নামক যৌগ থাকে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। আপেলের খোসায় ফাইবারও থাকে যা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
তরমুজ- এখন সারা বছরই তরমুজ পাওয়া যায়। তরমুজ ধমনী পরিষ্কার করতে পারে, এই ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন এবং লাইকোপিনের মতো খনিজ রয়েছে, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং খারাপ কোলেস্টেরল বাড়াতে বাধা দেয়।
লাল আঙুর- লাল আঙুর ফ্ল্যাভিনয়েড সমৃদ্ধ, আর এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগ দূরে রাখে। এছাড়াও এই আঙুর রেসভেরাট্রল নামক পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি দারুণ উত্স। এই যৌগটি আঙুরের খোসায় পাওয়া যায়, যা এলডিএল বাড়াতে বাধা দেয়।