কখনও ক্লাসরুমের ভিতরে দরজা বন্ধ করে, আবার কখনও গাড়ির ভিতর। সুযোগ পেলে ফ্ল্যাটেও ডেকে নিতেন। পড়ানোর নামে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রকে দিতেন যৌনতার পাঠ। সঙ্গে শিক্ষিকা মেটাতেন শরীরের খিদে। এক বা দুবার নয়, দুই বছর ধরে চলেছিল এই নোংরা কাজ। সুযোগ পেলেই ছাত্রের সঙ্গে উদ্দাম যৌনতায় মেতে উঠতেন শিক্ষিকা।
অবশেষে ধরা পড়লেন শিক্ষিকা। বুধবার তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মার্কিন মুলুকে ঘটেছে এমন ‘ভয়ঙ্কর’ ঘটনা। মেলিসা ম্যারি কার্টিস নামক বছর একত্রিশের ওই শিক্ষিকা যে স্কুলে চাকরি করতেন, সেখানেরই অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন তিনি। দুই বছর ছিল তাঁদের এই সম্পর্ক। শুধুমাত্র যৌন খিদে মেটানোর জন্যই ওই ছাত্রকে ব্যবহার করতেন শিক্ষিকা। তার বদলে ছাত্রকে মদ ও গাজা সরবরাহ করতেন তিনি।
মন্টগোমারি কাউন্টি ডিপার্টমেন্টের তরফে জানানো হয়েছে, আট বছর আগে এই যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটান অভিযুক্ত শিক্ষিকা। সেই সময়ে তাঁর বয়স ছিল ২২ বছর। তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত থাকা ওই ছাত্রের বয়স ছিল ১৪। গত মাসেই ওই ছাত্র (বর্তমানে যুবক) পুলিশে আট বছর আগে হওয়া যৌন শোষণের অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই শিক্ষিকার খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়। বুধবার তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জেরায় অভিযুক্ত শিক্ষিকা জানিয়েছেন, ২০১৫ সাল থেকে তাঁদের যৌন সম্পর্ক শুরু হয়। সুযোগ পেলেই ওই ছাত্রের সঙ্গে কখনও স্কুলের ভিতরে, কখনও নিজের গাড়িতে আবার কখনও নিজের বা বন্ধুর ফাঁকা ফ্ল্যাটে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতেন তিনি। কমপক্ষে ২০ বার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন ওই ছাত্রের সঙ্গে। মুখ বন্ধ রাখার জন্য় ওই কিশোরকে মদ ও গাঁজা এনে দিতেন তিনি।
পুলিশের সন্দেহ, শুধু ওই ছাত্র নয়, যে দুই স্কুলে পড়িয়েছিলেন ওই শিক্ষিকা, সেখানের একাধিক ছাত্রকেই হয়তো একইভাবে যৌন শোষণ করেছিলেন অভিযুক্ত। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।