১৯৪৫ সালে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা ফেলেছিল আমেরিকা। সেই ধ্বংসাত্মক ঘটনার ক্ষত আজও এই দুই শহরের পরবর্তী প্রজন্ম বয়ে চলেছে। এবার তার চেয়েও ২৪ গুণ শক্তিশালী পরমাণু বোমা তৈরি করছে আমেরিকা। বি৬১-১৩ নামের একটি আধুনিক পরমাণু বোমা তৈরি করতে চলেছে পেন্টাগন।
গত সপ্তাহে আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স এই বোমা তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন। ঠিক কতটা শক্তিশালী হতে পারে এই বি৬১-১৩ বোমা? সূত্রের খবর, নতুন বোমার সর্বোচ্চ ক্ষমতা হবে ৩৬০ কিলোটন। হিরোশিমায় যে বোমা ফেলা হয়েছিল তার ধারণক্ষমতা ছিল ১৫ কিলোটন। অর্থাৎ তার থেকে ২৪ গুণ বড় হবে এই নয়া বোমা। আবার নাগাসাকিতে ফেলা বোমাটির সর্বোচ্চ ক্ষমতা ছিল ছিল ২৫ কিলোটন। নয়া বোমাটি তার থেকে হবে প্রায় ১৪ গুণ বড়।
আমেরিকার তৈরি করা নতুন পরমাণু বোমাটি যদি মস্কোতে ফেলা হয় তাহলে প্রাণ হারাতে পারেন রাশিয়ার প্রায় তিন লক্ষ মানুষ।
প্রসঙ্গত, শত্রুদের বিরুদ্ধে নতুন করে ঘুঁটি সাজাতে চরম পদক্ষেপ নেওয়ার পথে এগোচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে তৈরি করা হয়েছিল বি৬১-১২ পরমাণু বোমা। সুরক্ষার নিরিখে সেই বোমার নানা বৈশিষ্ট্য নতুন বোমাতেও থাকবে। আমেরিকার তরফে জানানো হয়েছে, তাদের বানানো নতুন পরমাণু বোমা বি৬১-১৩ ‘প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী এবং সহযোগীদের আশ্বস্ত করতে’ বানানো হয়েছে।
ইতিমধ্যে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, নতুন তৈরি এই বোমা ফেললে আধ মাইল ব্যাসার্ধের আগুনের গোলা তৈরি হবে। যেখানে বোমা পড়বে তার ২ মাইল দূরের সমস্ত জায়গার বাসিন্দাদের এক মাসের মধ্যে মৃত্যু হবে। প্রাণ কেড়ে নেবে বোমার উচ্চ তেজস্ক্রিয়তা । যাঁরা বাঁচবেন তাঁদের মধ্যে ১৫ শতাংশ পরবর্তীকালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাবেন। সবমিলিয়ে এই একটি বোমা অগুনতি মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঢেলে দেবে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।