দুনিয়া পরীক্ষার জায়গা। দুনিয়ার জীবনে অনেক বিপদ-মসিবত আসে আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা হিসেবে। বিপদে পড়লে আমাদের কর্তব্য ধৈর্য ধারণ করা ও আল্লাহর ওপর ভরসা করা, আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা। কোরআনে আল্লাহ বলেছেন,
وَ لَنَبۡلُوَنَّکُمۡ بِشَیۡءٍ مِّنَ الۡخَوۡفِ وَ الۡجُوۡعِ وَ نَقۡصٍ مِّنَ الۡاَمۡوَالِ وَ الۡاَنۡفُسِ وَ الثَّمَرٰتِ وَ بَشِّرِ الصّٰبِرِیۡنَ
আমি অবশ্যই তোমাদেরকে ভয় ও ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন ও ফল-ফসলের ক্ষয়-ক্ষতির মাধ্যমে পরীক্ষা করবো। আর ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও। (সুরা বাকারা: ১৫৫)
এ ছাড়া দুনিয়ায় অনেক মসিবত পাপের শাস্তি হিসেবেও আসে। ভালো ও মন্দ কাজের প্রতিদানের মূল জায়গা আখেরাত হলেও কিছু পাপের শাস্তি আল্লাহ দুনিয়াতেই দিয়ে দেন যেন মানুষ নিজের ভুল বুঝতে পেরে সঠিক পথে ফিরতে পারে। আল্লাহ বলেন,
ظَهَرَ الْفَسَادُ فِي الْبَرِّ وَ الْبَحْرِ بِمَا كَسَبَتْ اَيْدِي النَّاسِ لِيُذِيْقَهُمْ بَعْضَ الَّذِيْ عَمِلُوْا لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُوْنَ.
মানুষের কৃতকর্মের কারণে জলে ও স্থলে ছড়িয়ে পড়ে বিপর্যয়, যেন তিনি তাদের আস্বাদন করাতে পারেন যা তারা করেছিল তার কিছুটা, হয়তো তারা ফিরে আসবে। (সুরা রূম: ৪১)
আরেকটি আয়াতে আল্লাহ আখেরাতের শাস্তিকে বড় শাস্তি ও দুনিয়ার শাস্তিকে ছোট শাস্তি হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, বড় শাস্তি আসার আগে তিনি ছোট শাস্তি দিয়ে মানুষকে সাবধান করেন। আল্লাহ বলেন,
لَنُذِيْقَنَّهُمْ مِّنَ الْعَذَابِ الْاَدْنٰي دُوْنَ الْعَذَابِ الْاَكْبَرِ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُوْنَ .
গুরুতর শাস্তির আগে আমি তাদেরকে অবশ্যই লঘু শাস্তি আস্বাদন করাবো যাতে তারা ফিরে আসে। (সুরা সাজদা: ২১)
অর্থাৎ গোনাহের পরকালীন শাস্তি তো আছেই; দুনিয়াতেও বিভিন্ন বালা-মসিবতের মাধ্যমে গোনাহের শাস্তি দেওয়া হবে।