মুসলমানদের জন্য জুমার দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। রাসুল (সা.) বলেছেন,
إِنَّ هَذَا يَوْمُ عِيدٍ جَعَلَهُ اللَّهُ لِلْمُسْلِمِينَ فَمَنْ جَاءَ إِلَى الْجُمُعَةِ فَلْيَغْتَسِلْ وَإِنْ كَانَ طِيبٌ فَلْيَمَسَّ مِنْهُ وَعَلَيْكُمْ بِالسِّوَاكِ
নিশ্চয় আল্লাহ এ দিনটিকে মুসলমানদের জন্য ঈদের দিনরূপে নির্ধারণ করেছেন। তাই যে ব্যক্তি জুমার নামাজ আদায় করতে আসবে সে যেন গোসল করে এবং সুগন্ধি থাকলে তা শরীরে লাগায়। মিসওয়াক করাও তোমাদের কর্তব্য। (সুনানে ইবনে মাজা: ৮৩)
জুমার দিন কিছু আমল করলে আল্লাহ তাআলা দশ দিনের পাপ ক্ষমা করে দেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
إِذَا كَانَ يَوْمُ الْجُمُعَةِ فَاغْتَسَلَ الرّجُلُ، وَغَسَلَ رَأْسَهُ، ثُمّ تَطَيّبَ مِنْ أَطْيَبِ طِيبِهِ، وَلَبِسَ مِنْ صَالِحِ ثِيَابِهِ، ثُمّ خَرَجَ إِلَى الصّلَاةِ، وَلَمْ يُفَرِّقْ بَيْنَ اثْنَيْنِ، ثُمّ اسْتَمَعَ لِلْإِمَامِ، غُفِرَ لَهُ مِنَ الْجُمُعَةِ إِلَى الْجُمُعَةِ، وَزِيَادَةُ ثَلَاثَةِ أَيّامٍ.
জুমার দিন যে ব্যক্তি মাথা ধুয়ে গোসল করে, উত্তম আতর ব্যবহার করে এবং তার উত্তম পোশাক পরিধান করে, তারপর নামাজের উদ্দেশে বের হয়, মসজিদে গিয়ে কাতার ডিঙিয়ে সামনে যায় না, মনোযোগের সাথে ইমামের খুতবা শোনে, ওই ব্যক্তির এক জুমা থেকে আরেক জুমা এবং অতিরিক্ত আরো তিন দিনের গোনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। (সহিহ ইবনে খুজায়মা: ১৪০৩)
এ হাদিস থেকে যে আমলগুলোর নির্দেশনা পাওয়া যায়
১. জুমার নামাজের প্রস্তুতি হিসেবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে ভালোভাবে গোসল করতে হবে।
২. সাধ্যের মধ্যে সর্বোত্তম সুগন্ধী ব্যবহার করতে হবে এবং উত্তম পোশাক পরিধান করতে হবে।
৩. জুমার নামাজের জন্য দ্রুত মসজিদে উপস্থিত হতে হবে এবং মসজিদে কারো কষ্টের কারণ হওয়া যাবে না। কাতার ডিঙিয়ে, মানুষের ঘাড়ের ওপর দিয়ে সামনে যাওয়ার চেষ্টা বা অন্যদের জন্য কষ্টকর যে কোনো কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
৪. চুপ থেকে মনযোগ দিয়ে খুতবা শুনতে হবে। খুতবার সময় কথা বলা যাবে না।
৫. উত্তমরূপে জুমার নামাজ আদায় করতে হবে।
জুমার দিন এ সহজ ৫টি আমল করলে আশা করা যায় আল্লাহ আমাদের দশ দিনের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।