হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে আমেরিকার পারমাণবিক বোমা ফেলা যদি ঠিক কাজ হয় তাহলে গাজায় ইজরায়েলের আক্রমণ ও মানুষের মৃত্যুও যুদ্ধের ন্যায্য মূল্য। ওয়াশিংটনের আধিকারিকদের সঙ্গে ব্যক্তিগত কথোপকথনে নাকি এমনই জানিয়েছেন তেল আভিভের আধিকারিকরা। এক রিপোর্ট মোতাবেক উঠে এসেছে এমনই তথ্য।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, গাজায় হামলা চালানো নিয়ে নিজেদের পক্ষে সওয়াল করে ইজরায়েল (Israel)। ওয়াশিংটনের আধিকারিকদের সঙ্গে এক ব্যক্তিগত কথোপকথনে ইহুদি দেশটির আধিকারিকরা বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা ফেলেছিল আমেরিকা। মৃত্যু হয়েছিল হাজার হাজার মানুষের। সেটা যদি ঠিক হয় তাহলে এটাও ইজরায়েলের অস্তিত্বের লড়াই। গাজা আক্রমণ ও সেখানে মানুষের মৃত্যু তেল আভিভের কাছে যুদ্ধের ন্যায্য মূল্যের সমান।
গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের বুকে প্যালেস্টাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস বেনজির হামলা চালায়। যার প্রত্যুত্তরে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সেই সময় থেকেই তেল আভিভের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। পাঠানো হয়েছে সামরিক সাহায্য। কিন্তু গাজায় ইজরায়েলি হামলা বেনজির প্রাণহানির পর ত্রাণকার্য চালানোর উপর জোর দিচ্ছে আমেরিকা।
কয়েকদিন আগেই সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাত্কার দিতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, 'বড় ভুল হবে। হামাস বাহিনী কট্টরপন্থী, কিন্তু সমস্ত প্যালেস্তিনীয়র পরিচয় হামাস নয়। তা মনে রাখতে হবে।' তিনি আরও বলেন, 'হামাস যা করেছে তা ভয়ংকর কিন্তু এর ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকেও। ইজরায়েল খুব খারাপ পরিস্থিতির শিকার হয়েছে। নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্য পদক্ষেপ করার অধিকার তাদেরও রয়েছে। কিন্তু সত্যি এটাই যাঁদের যাওয়ার কোনও জায়গা নেই তাদের ভোগান্তি কম করার জন্য তেল আভিভ কিছু করতে পারলে তাহলে সেটা তাদের করা উচিত।' আমেরিকার এই অবস্থান নিয়েই আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রসঙ্গ টানা হয় ইজরায়েলের তরফে।