ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর নজিরবিহীন হামলায় গত ২২ দিনে আট হাজার ৩০৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২১ হাজার ৪৮ জন। হতাহতদের বেশির ভাগই নারী-শিশুসহ বেসামরিক মানুষ। সোমবার (৩০ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সর্বাত্মক অবরোধের মুখে থাকা গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা আট হাজার ৩০৬ জনে পৌঁছেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শিশু রয়েছে তিন হাজার ৪৫৭টি আর নারীর সংখ্যা দুই হাজার ২৩৬ জন।
এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে বা নিখোঁজ রয়েছেন। গত ৭ অক্টোবর বর্বরোচিত এই হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে রোববার (২৯ অক্টোবর) পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়ে ইসরায়েলি বাহিনী কমপক্ষে ৫৩টি গণহত্যা চালিয়েছে। ইসরায়েলের হামলায় বিপর্যস্ত গাজায় তীব্র মানবিক সঙ্কট দেখা গেছে। সর্বাত্মক অবরোধের কারণে খাবার, পানিসহ জরুরি পণ্যের মারাত্মক সংকট তৈরি হয়েছে। এমন অবস্থায় গর্ভবর্তী নারী এবং শিশুসহ হাজারো মানুষ দূষিত পানি পান করতে বাধ্য হচ্ছেন। এদিকে, গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় চিকিত্সকসহ ১২৪ স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন। সোমবার (৩০ অক্টোবর) এমনটি জানিয়েছেন, গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদ্রসা।তিনি আরো জানিয়েছেন, গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর জ্বালানি সঙ্কটে ২৫টি অ্যাম্বুলেন্স অচল হয়ে পড়েছে এবং ৩২টি মেডিকেল সেন্টারও পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে। গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম হাসপাতাল আল-কুদসে ইসরায়েলি হামলার শঙ্কা আরো তীব্র হয়েছে। এর আগে হাসপাতালটি খালি করার নির্দেশ দেয় ইসরায়েল সেনাবাহিনী। হাসপাতালটিতে হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে তারা এটি খালি করার নির্দেশ দেয়। তবে আন্তর্জাতিক সংস্থা রেড ক্রিসেন্ট এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে জানিয়েছে, এই অনৈতিক নির্দেশ মানা অসম্ভব।