বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেছেন, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, একটি দেশ আরেকটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। আমরা যদি সেই হিসাবে চিন্তা করি তাহলে কিন্তু বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস সাহেবকে বহিষ্কার করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। কারণ উনি (পিটার) নগ্নভাবে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে চলেছেন। কোনোভাবেই ভালোটা মানতে রাজি নন, তিনি যেন এই দেশের মালিক, এই দেশের হর্তাকর্তা, বিধাতা!
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘দেশ আমার, সিদ্ধান্ত আমার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে স্বাধীনতা সাংবাদিক ফোরাম।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম। বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখত, দৈনিক সমকালের সম্পাদক আলমগীর হোসেন, ডেইলি সানের প্রধান সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী, টিভি টুডের সিইও মনজুরুল আহসান বুলবুল, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক প্রমুখ।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মানিক বলেন, বিএনপি, জামায়াত দেশের মানুষের ওপর ভরসা রাখতে পারছে না, কারণ জনগণ তাদের ত্যাজ্য করেছে। তারা আজ চেষ্টা করছে বিদেশি প্রভুদের সহায়তায় ক্ষমতায় যেতে। যে চেষ্টা পলাশীর যুদ্ধের আগেই করেছিল মীরজাফর। তারা (বিএনপি) বিদেশিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে ক্ষমতায় বসার জন্য। এই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছেন পিটার ডি হাসসহ বেশ কয়েকজন। মনে আছে আমরা কিন্তু পাকিস্তানের উপরাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছিলাম। এটিই আইন।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকে আমাদের বিরোধিতা করে আসছে। ১৯৭১ সালেই তারা বিরোধিতা করেছে। সব
পর্যায়ে আমাদের দেশে অশান্তি সৃষ্টি করে আসছে। স্যাংশনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আমরা ভয় পাইনি। জুজুর ভয় দেখিয়ে উন্নয়নের ধারা তারা বন্ধ করতে পারবেন না।