ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের বিমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় জাতিসংঘের অন্তত ১৪ জন কর্মী নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত তিন সপ্তাহে গাজায় জাতিসংঘের নিহত কর্মীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৩ জনে।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তা বিষয়ক সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ ওয়ার্ক এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজি (আনরোয়া) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান বাহিনীর গত ২১ দিনের বোমাবর্ষণে গাজায় ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অন্তত ১৪ লাখ ফিলিস্তিনি ও তাদের মধ্যে প্রায় ৬ লাখ ৪০ হাজার উপত্যকার ১৫০টি শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। এ শিবিরগুলো পরিচালনা করে আনরোয়া।
এদিকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তার জন্য অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) জর্ডান পরিষদের অধিবেশনে ওই প্রস্তাব দেয়, যার পক্ষে বিপুল ভোট পড়ে। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে পরিষদের ১২০ সদস্য। বিপক্ষে ভোট দেয় যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৪ সদস্য। অন্যদিকে ভারতসহ ৪৫ সদস্য ভোটদানে বিরত ছিল।
সাধারণ পরিষদে তোলা উত্থাপিত প্রস্তাবটিতে গাজায় অবিলম্বে একটি টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ সরবরাহ নিরাপদ করা, অঞ্চলটির উত্তরাংশের বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার ব্যাপারে ইসরাইলের নির্দেশ বাতিল করা, এই যুদ্ধে সব বেসামরিক জিম্মিকে মুক্ত করার কথা বলা হয়। প্রস্তাবটিতে সরাসরি হামাসের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে প্রবেশ করে ১ হাজার ৪০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি দুই শতাধিক মানুষকে বন্দি করে হামাস। এরপর থেকেই ধারাবাহিকভাবে গাজা শহরে বোমাবর্ষণ করছে ইসরাইলে। হামলায় প্রায় সাড়ে ৭ হাজারের মতো সাধারণ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।