ইরানের হিজাব পরার নিয়ম ঠিকঠাক মানেননি এক তরুণী। তার জেরে ওই তরুণীকে হামলার মুখে পড়তে হয়েছিল। অবশেষে তাঁর ব্রেন ডেথ হয়েছে বলে জানা গেছে । রবিবার ইরানের স্টেট মিডিয়াতে এই সংবাদ সামনে এসেছে।
মূলত নীতি পুলিশের খপ্পরে পড়েছিলেন তিনি। এরপর বচসা বাঁধে বলে খবর। তিনি হামলার মুখে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ। ওই তরুণীর নাম আরমিতা গেরাবান্দ। তবে এই ঘটনার জেরে সেই আগের বছরের হিজাব বিতর্কে মাহাসা আমিনির মৃত্য়ুর ঘটনা সামনে আসছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে কুর্দিশ-ইরানিয়ান ২২ বছর বয়সি তরুণী ওই ড্রেস কোড মানেননি। এরপর আটক থাকার সময় তাঁর মৃত্য়ু হয় বলে খবর। এরপর গোটা ইরান জুড়ে একেবারে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়।
একাধিক ক্ষেত্রে হিজাব পোড়ানো হয়েছিল বলে খবর। উত্তাল হয়ে ওঠে ইরান। দুই সাংবাদিক মাহসার মৃত্য়ু নিয়ে খবর করেছিলেন। সেই দুই সাংবাদিককে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। একজনকে ১৩ বছর ও অপরজনকে ১২ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছিল তারা মার্কিন সহায়তায় জাতীয় সুরক্ষার ক্ষেত্রে বড়সর গাফিলতির কাজ চলে।
আর ফের ইরানে সেই মাহসার মৃত্যুর ছায়া।
ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরান নিউজ নেটওয়ার্কে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই তরুণীর স্বাস্থ্যে সম্পর্কিত রিপোর্টে ব্রেন ডেথের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে এই খবরকে কেন্দ্র করে ফের হিজাব পরা নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দিতে শুরু করল। তবে ইরান কর্তৃপক্ষ অবশ্য যে দাবিগুলি বিভিন্ন অধিকার রক্ষা সংগঠন তুলেছে তা মানতে চায়নি। তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল ১৬ বছর বয়সি ওই কিশোরী হিজাব পরে বের হয়নি। এনিয়ে একটা সংঘাত তৈরি হয়।অফিসাররা তাকে তেহেরান মেট্রোতে ইসলামিক ড্রেস কোড পরার ক্ষেত্রে চাপাচাপি করেছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে। তখনই তিনি আহত হন।
এবার তাঁর ব্রেন ডেথ হয়েছে বলে খবর। এবার ইরানে এনিয়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে কি না সেটাই দেখার। নাকি গোটা বিষয়টি মেনে নেবেন ইরানের মানুষ সেটাও দেখার।