ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় একটি প্রাচীনতম গ্রীক অর্থোডক্স গির্জায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। হামলায় কমপক্ষে ৮ জন নিহত ও কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন। হামলার সময় ওই গির্জায় প্রায় ৫০০ ফিলিস্তিনি মুসলমান ও খ্রিস্টান আশ্রয় নিয়েছিলেন।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) গাজার আল-জায়তুন এলাকায় সেন্ট পোরফিরিয়াস গির্জায় হামলায় নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। নিহত ও আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ইসরাইলি হামলার শিকার গির্জাটি গাজার সবচেয়ে পুরোনো এবং কয়েক শতাব্দী আগে নির্মিত।
ওয়াফা জানিয়েছে, বোমা হামলার ফলে চার্চ স্টুয়ার্ডস কাউন্সিলের ভবন সম্পূর্ণ ধসে পড়েছে। সেই ভবনে বেশ কয়েকটি ফিলিস্তিনি পরিবার-তাদের মধ্যে খ্রিস্টান এবং মুসলিম উভয়ই ছিল। ইসরাইলি বোমাবর্ষণের মধ্যে গির্জায় আশ্রয় নিয়েছিলেন তারা।
এদিকে ইসরাইল গাজায় ‘গণহত্যার’ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে বলে অভিযোগ করেছে ফিলিস্তিনি চার্চ কমিটি। ফিলিস্তিনের হাইয়ার কমিটি ফর চার্চ অ্যাফেয়ার্স-এর প্রধান বলেছেন, গাজায় গ্রীক অর্থোডক্স গির্জার ওপর ইসরাইলের বোমাবর্ষণের মতো কাণ্ড ‘ফিলিস্তিনি জনগণকে ধ্বংস করার ইসরাইলি অভিপ্রায়কেই’ তুলে ধরছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) গাজার আল-আহলি আরব হাসপাতালে ইসরাইলের হামলায় প্রায় ৫’শ ফিলিস্তিনি নিহত হয়।
সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, ইসরাইলি হামলা থেকে বাঁচতে গাজার বহু বাসিন্দা ওই হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এছাড়া আগে থেকেই সেখানে ভর্তি ছিলেন ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় আহত শত শত রোগী।