ইসলামে সালাম অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ আমল। রাসুল (সা.) বেশি বেশি সালাম দিতে উৎসাহিত করে বলেছেন সালাম মুসলমানদের পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভালোবাসা বাড়ায়। নবিজি (সা.) বলেন, সেই সত্তার কসম যার হাতে আমার প্রাণ! তোমরা মুমিন না হলে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না আর পরস্পরে সৌহার্দ্য ও ভালোবাসা না রেখে তোমরা মুমিন হতে পারবে না। আমি তোমাদের এমন কাজের কথা বলছি, যা তোমাদের পারস্পরিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করবে, নিজেদের মধ্যে বেশি বেশি সালাম দাও। (সহিহ মুসলিম: ২০৩)
সালামের যে সুন্নাত ও আদবসমূহ মনে রাখবেন
১. ছোট বড় সবাইকে আগে সালাম দেওয়ার চেষ্টা করুন।
২. পরিচিত-অপরিচিত নির্বিশেষে সবাইকে সালাম দিন।
৩. সালামের সময় হাত দিয়ে ইশারা করা বা কপালে হাত ঠেকানো থেকে বিরত থাকুন। শুধু দূরের কোনো ব্যক্তিকে সালাম দেওয়ার সময় তার পর্যন্ত আওয়াজ না পৌঁছার সম্ভাবনা থাকলে হাত দিয়ে ইশারা করে বোঝাতে পারেন।
৪. গুরুজনদের শ্রদ্ধার স্বরে ও ছোটদের স্নেহের স্বরে সালাম দিন।
৫. অমুসলিমদের সালাম না দিয়ে ‘শুভ সকাল’ বা ‘শুভ সন্ধ্যা’ ইত্যাদি বলে অভিবাদন জানান।
৬. কোনো পাপ কাজ বা প্রস্রাব পায়খানায় রত ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৭. ইবাদত, তিলাওয়াত, জিকির ও দ্বীনি আলোচনায় মগ্ন কাউকে সালাম দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৮. কোনো মজলিশে সবাই জরুরি আলোচনায় ব্যস্ত থাকলে এবং সালামের কারণে ব্যাঘাত সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে সালাম দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।