অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত শুরু হওয়ার পর ফিলিস্তিনের এই অঞ্চলে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭৩ জনে।
এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সফরের মধ্যেও গাজায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। বৃহস্পতিবারও (১৯ অক্টোবর) উপত্যকার কয়েকটি নতুন এলাকা টার্গেট করে হামলা চালানো হয়েছে।
এতে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৪৪ জন। এর মধ্যে খান ইউনিস এলাকায় ছয় শিশুসহ একই পরিবারের ১১ জন নিহত হয়েছে। সব মিলিয়ে গত ১৩ দিনের মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৭৮৫ জনে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের আকস্মিক অভিযানের পর অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলার সঙ্গে সঙ্গে অধিকৃত পশ্চিম তীরেও হামলার ঘটনা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের ওপর আক্রমণ করছে সেটেলাররাও।
এএফপির প্রতিবেদন মতে, বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনীর একাধিক হামলার ঘটনায় ৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এদিন সবশেষ হামলার ঘটনা ঘটে নুর শামস নামে একটি শরণার্থী শিবিরে। এই হামলায় চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়।
এর কয়েক ঘণ্টা আগে একই শরণার্থী শিবিরে পৃথক এক হামলায় ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর নিহত হয়। এছাড়া পৃথক আরেক ঘটনায় রামাল্লায় আরও দুইজনকে গুলি করে হত্যা করে ইসরাইলি বাহিনী।
হামলার পাশাপাশি পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ধরপাকড়ও অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি পুলিশ। সিএনএনের এক প্রতিবেদন মতে, বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) এই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬০ জনের বেশি ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে হামাসের এক মুখপাত্র রয়েছেন বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর ফলে হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত পশ্চিম তীরে ৫২৪ জন ফিলিস্তিনিকে আটক করে করেছে ইসরাইলি পুলিশ। তাদের দাবি, এর মধ্যে ৩৩০ জনের বেশি হামাসের সঙ্গে যুক্ত।