রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের শহর মেলিতোপোলের মেয়রকে অপহরণ করার জন্য রুশ বাহিনীকে অভিযুক্ত করেছে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ।
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আন্তন হেরাশেঙ্কো জানান, বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) ১০ জন রুশ সেনা মেলিতোপোলের ‘ক্রাইসিস সেন্টার’ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে এবং মেয়র ইভান ফেদোরভের মাথায় একটি ব্যাগ ঢুকিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায়।
ফুটেজ শেয়ার করে কিয়েভের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের উপপ্রধান কিরিলো টিমোশেঙ্কোও মেয়র ইভানের অপহরণ হওয়ার কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ওই ভিডিওটিতে দেখা গেছে, মুখোশধারী ব্যক্তিরা একটি ভবন থেকে একজনকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ভিডিওটি স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি। এ ছাড়া মেলিতোপোল শহরের মেয়রকে অপহরণের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি মস্কো।
এ ঘটনার পর শুক্রবার (১১ মার্চ) এক ভিডিও বার্তায় মেয়রকে অপহরণের নিন্দা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ সময় মেয়র ইভান ফেদোরভকে ‘বীর’ বলে আখ্যা দেন তিনি।
এদিকে ইউক্রেনে চলমান রুশ সেনা অভিযানের মুখে প্রাণ বাঁচাতে এখনো দেশ ছাড়ছেন অনেকে। ইউক্রেন থেকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় ছুটে চলেছেন শত শত সাধারণ মানুষ। শুক্রবারও (১১ মার্চ) দেশ ছাড়তে দেখা যায় ইউক্রেনীয়দের।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে চলছে রাশিয়ার বিশেষ সেনা অভিযান। এরই মধ্যে রুশ সেনাদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর। প্রাণ হারিয়েছেন বহু বেসামরিক নাগরিক। কেবল রাজধানী কিয়েভ ছেড়ে পালিয়েছেন ২০ লাখের বেশি মানুষ। এখনো জীবন বাঁচাতে শহর ছাড়ছেন অনেকে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১১ মার্চ) এভাবেই বাসে করে ইউক্রেনের এনেহোডার, ভেসিলিভকা ও বুচা শহর ছাড়েন কয়েকশ’ মানুষ। বুচার বাসিন্দারা জানান, রুশ সেনাদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে শহরের বহু ঘরবাড়ি।
তীব্র ঠান্ডা উপেক্ষা করেও মানুষের ঢল অব্যাহত আছে ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ রোমানিয়ায়। শুক্রবার ফেরি দিয়ে রোমানিয়ায় প্রবেশ করেন কয়েকশ ইউক্রেনীয়। অতিরিক্ত ঠান্ডায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে যখন নিজের ও পরিবারের জীবন বাঁচাতে ঘর ছাড়ছেন লাখ লাখ মানুষ। তখন দেশ ছেড়ে মলদোভায় পালিয়া যাওয়া অনেকে আবার ভাবছেন ইউক্রেনে ফেলে আসা পরিবারের কাছে ফিরে যেতে। আবার কেউ কেউ চাইছেন ফিরে গিয়ে তাড়াহুড়োয় ফেলে আসা জরুরি মালপত্র সংগ্রহ করতে।
রাজশাহীর সময় / জি আর