মেয়েদের মা হওয়ার ক্ষেত্রে বয়স গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ডিম্বাণু উত্পাদনের নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রে শুক্রাণু উত্পাদনের নির্দিষ্ট কোনও সীমারেখা থাকে না। তবে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণগত মান কমতে থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরুষদের ক্ষেত্রে ২৫ থেকে ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত সন্তান উত্পাদন ক্ষমতা সবচেয়ে ভাল থাকে।
এ কথাও ঠিক যে, ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সি পুরুষও সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। কারণ, শরীরে শুক্রাণু তৈরির প্রক্রিয়া কার্যত কখনও বন্ধ হয় না। একই সঙ্গে বিশেষজ্ঞরা এও বলছেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুক্রাণুর মধ্যে জিনগত বদল আসতে পারে। ফলে শুক্রাণুর ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরুষেরা বেশি বয়সে সন্তানের বাবা হলে, শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে শিশুদের স্নায়ুতন্ত্রের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তিরিশের আশপাশে থাকা পুরুষদের ক্ষেত্রে আইভিএফ পদ্ধতি সফল হওয়ার সম্ভাবনা ৭৩ শতাংশ। কিন্তু চল্লিশ পেরিয়ে গেলে সেই সম্ভাবনা অর্ধেকের থেকেও কম।