গাজার আল-আহলি ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে রকেট হামলায় ৫০০ জন রোগী ও আশ্রয়কারীর মৃত্যুর ঘটনায় ইজরায়েলকেই দায়ী করছে আরব দেশগুলি। অন্যদিকে ইজরায়েলের দাবি হামাসের ভুলেই এই ঘটনা ঘটেছে। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইজরায়েল সফরকে সামনে রেখে তেল আবিবে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
হাসপাতারে হামলার পরে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে আরব দেশগুলি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডো বাইডেনের ইজরায়েল সফরের পরে আরব দেশগুলির সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। হাসপাতালে হামলার ঘটনার পরে সেই বৈঠক বয়কট করেছে জর্ডন। জর্ডনের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লা, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি এবং ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মহম্মদ আব্বাসের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক করার কথা ছিল। যা পরে বাতিল করা হয়েছে।
রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের তরপে বলা হয়েছে, আল-আহলি ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে হামলার সঙ্গে যে ইজরায়েল জড়িত নয়, তা প্রমাণ করতে ইজরায়েলকে স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করতে হবে। রাশিয়া এই হামলাকে অপরাধের পাশাপাশি অমানবিক কাজ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ইজরায়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে মারাত্মক বিস্ফোরণের সঙ্গে সম্পর্কিত গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এটি বিশ্লেষণ করে দেখছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, যদি ইরান ও হিজবুল্লা এই যুদ্ধে অংশ নেয়, তাহলে তারাও নেমে পড়বে এর বিরোধিতায়।
যুদ্ধে অসামরিক লোকেদের জীবনরক্ষা নিয়ে ইজরায়েলকে সতর্কতা জারির পরেও বাইডেন বলেছেন, ইজরায়েলের আত্মরক্ষা ও হামাসকে নির্মূল করার অধিকারের জন্য সমর্থনের প্রয়োজন রয়েছে।
রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতারেস অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। চিনের রাজধানী বেজিংয়ে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিন.পিং ও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের উপস্থিতিতে ভাষণ দিতে গিয়ে গুতারেজ বলেছেন, মধ্য প্রাচ্যে কী ঘটছে তা নিয়ে আমাদের মনোযোগ দিতে হবে।
ইজরায়েলের সেনাবাহিনীর তরফে দাবি করে বলা হয়েছে, তাদের কাছে থাকা বায়বীয় চিত্রগুলিতে গাজার হাসপাতালে ইজরায়েলি বিমান হামলার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এদিকে গাজার আল আহলি ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে বিস্ফোরণের পরে লেবাননের রাজধানী বেইরুটে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন শিয়ারা। সেখানে বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রসংঘের কার্যালয়ে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেয়।