ঘন ঘন সংক্রমণে ভুগছেন? এর পিছনে কারণ হতে পারে ভিটামিন ডি-এর অভাব। শরীরে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন ও খনিজ অপরিহার্য। যে কোনও ধরনের ভিটামিন ও খনিজের অভাবেই শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে নানা রোগ। কিন্তু শরীরে এদের ঘাটতি হয়েছে কি না, তা বুঝবেন কী করে? শরীরে ভিটামিন ও খনিজের অভাব থাকলে তার প্রভাব মুখের উপর পড়ে।
প্রাথমিক ভাবে কিছু লক্ষণ দেখে নিজেও অনেকটা আন্দাজ করা যায়। সাধারণত খাওয়াদাওয়ার অনিয়মের জন্যই শরীরে ভিটামিন ও আয়োডিনের অভাব দেখা দেয়। জেনে নিন, কোন লক্ষণগুলি দেখলে সতর্ক হবেন।
১) ত্বকের জেল্লা কমে যাচ্ছে? এটি কিন্তু শরীরে ভিটামিন বি১২-এর অভাবের কারণে হতে পারে। এই ভিটামিনের অভাবে ত্বক বিবর্ণ দেখায়। এ ছাড়া শরীরে সারা দিন ক্লান্তিবোধ থাকবে। জিভে খাবারের কোনও স্বাদও পাবেন না। ভিটামিন বি১২-এর পরিমাণ ঠিক রাখতে স্যামন মাছ, বিভিন্ন প্রাণীর মেটে, রেড মিট (কোলেস্টেরল বাড়ায়, তাই পরিমাণ বুঝে), দই ও চিজ খান।
২) ঘুম থেকে ওঠার পরে চোখের তলায় ফোলা ভাব লক্ষ করেন? তা হলেও সতর্ক হোন। নানা কারণে এমনটা হলেও অনেক সময়ই শরীরে আয়োডিনের পরিমাণ কমলে এই জাতীয় উপসর্গ দেখা যায়। যার ফলে সারা দিন ক্লান্ত লাগে। ত্বক শুষ্ক হতে থাকে এবং ওজন বাড়তে থাকে। শরীরে আয়োডিনের পরিমাণ ঠিক রাখতে তাই বেদানা, দই, আলু, স্ট্রবেরি খেতে পারেন।
মুখের ভিতরে বিভিন্ন সমস্যার জন্য দায়ী ভিটামিন সি-র অভাব। ছবি: সংগৃহীত।
৩) সারা বছরই ঠোঁট ফাটছে? ঠোঁট ফাটা বা শুকিয়ে যাওয়াও ভিটামিনের অভাবের অন্যতম লক্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া রক্তাল্পতার কারণেও ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এই সমস্যার জন্য রেড মিট, সি-ফুড, বিন ও সব্জি খান বেশি করে।
৪) মাড়ি থেকে রক্ত বেরোলেও সাবধান হোন। মুখের ভিতরে বিভিন্ন সমস্যার জন্য দায়ী ভিটামিন সি-র অভাব। এই ধরনের সমস্যার জন্য লেবু ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান।
৫) রুক্ষ চুল বুঝিয়ে দেয়, শরীরে ভিটামিনের অভাব রয়েছে। দেহে ভিটামিন বি৭ বা বায়োটিনের পরিমাণ কমলে চুল রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। এর ফলে নখও ক্ষয়ে যেতে থাকে। যথেষ্ট পরিমাণে ডিম, বাদাম ইত্যাদি খেলে শরীরে ভিটামিন বি৭-এর পরিমাণ ঠিক হতে পারে।