সুইডেনে গবেষণা করতে গিয়ে রহস্য মৃত্যু বাঙালি পড়ুয়ার। ফ্ল্যাট থেকে মিলেছে সেই ছাত্রীর মৃতদেহ। ইতিমধ্যে ঘটনাটিতে এক সুইডিশ নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। কীভাবে মৃত্যু হল ওই গবেষকের, জানতে চাইছে শোকার্ত পরিবার। পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে তাঁদের মেয়েকে। শুধু দেহ ফিরিয়ে আনা নয়, দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃত পড়ুয়ার পরিবার।
মৃতের নাম রোশনি দাস। সুইডেনের উমেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নিউরো সায়েন্স নিয়ে গবেষণা করতে গিয়েছিলেন দুর্গাপুরের রোশনি। গবেষকের মা জানিয়েছেন, গত ২৯ সেপ্টেম্বর শেষবার কথা হয়েছিল মেয়ের সঙ্গে। এর কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁদের কাছে দুঃসংবাদ এসে পৌঁছয়। শোকে ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার।
দুর্গাপুরের ডিপিএল টাউনশিপের ইএন টাইপের বাসিন্দা রোশনি দাস। বছর ৩২-এর রোশনি দুর্গাপুরেই স্কুল শেষ করে বর্ধমান রাজ কলেজ থেকে জুলজি অনার্স নিয়ে পড়াশোনা করার পর উড়িষ্যার ভুবনেশ্বর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োটেকলোজি নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। সম্প্রতি সুইডেনের উমিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিউরো সায়েন্স নিয়ে ডক্টরেট করছিলেন রোশনি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মাসের ৩০ তারিখ থেকে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি। কিন্তু তখনও এই নির্মম পরিণতির কথা ভাবতে পারেননি কেউই।
চলতি মাসের ১৩ তারিখ সুইডেন দুতাবাস থেকে যোগাযোগ করা হয় ভারতীয় দুতাবাসের সঙ্গে। সেখান থেকে দিল্লি ও তারপর কলকাতার ভবানী ভবন থেকে কোকওভেন থানায় যোগাযোগ করা হয়। পরিবারকে জানানো হয়, সুইডেনে এক আপার্টমেন্টের ভিতর থেকে রোশনির দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটিতে গ্রেফতার করা হয়েছে এক সুইডিশ নাগরিককেও।
রোশনির মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবার। প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মেয়ের দেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার আবেদন জানিয়েছেন গবেষকের মা। আচমকাই ছাত্রীর মৃত্যু সংবাদে শোকার্ত হয়ে পড়েছেন প্রতিবেশীরাও।