মধ্যপ্রাচ্যের দেশ লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ বলেছে, সময় হলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ফিলিস্তিনি মিত্র হামাসের সঙ্গে যোগ দিতে তারা পুরোপুরি প্রস্তুত। ৭ অক্টোবর স্বাধীনতাকামী হামাসের শত শত যোদ্ধা গাজা থেকে ইসরায়েলে সীমান্ত পেরিয়ে এক হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করে।
এরপর ইসরায়েলও পাল্টা হামলা শুরু করে গাজায়। টানা সাত দিনের ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত দুই হাজার বেসামরিক মানুষ মারা গেছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গাজা উপত্যকায় হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে বোমাবর্ষণ করে ইসরায়েল প্রতিশোধ নিচ্ছে। এতে অন্তত এক হাজার ৯০০ জন নিহত হয়েছে। যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক এবং ৬০০ জনেরও বেশি শিশু।ইসরায়েল গাজায় হামলা অব্যাহত রাখার সপ্তম দিনে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহর উপপ্রধান নাইম কাসেম বক্তৃতা দিয়েছেন।
বৈরুতের দক্ষিণ শহরে ফিলিস্তিনি সমর্থক সমাবেশে কাসেম বলেন, 'আমরা, হিজবুল্লাহ এই যুদ্ধে লড়ে যাব এবং আমাদের দৃষ্টি ও পরিকল্পনার মধ্যে থেকে সব কাজ করে যাব।' ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তিনি আরো বলেন, 'আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। যখন সময় আসবে আমরাও পদক্ষেপ নেব (ইসরায়েলের বিরুদ্ধে)।'ইসরায়েল সাম্প্রতিক দিনগুলোতে লেবাননে হিজবুল্লাহ এবং ফিলিস্তিনের সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে।শুক্রবার দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় রয়টার্সের একজন সাংবাদিক নিহত হন এবং এএফপি, রয়টার্স ও আল-জাজিরার আরো ছয়জন আহত হন। তারা সীমান্তে গোলাবর্ষণের মধ্যে আটকা পড়েছিলেন।ইসরায়েলি বাহিনী বলেছে, 'সীমান্তে বাধাগ্রস্ত হওয়ার পরে তাদের সৈন্যরা লেবানিজ ভূখণ্ডের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে জবাব দিচ্ছে।' শনিবার ইসরায়েলি বিমানবাহিনী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ বলেছে, তার বাহিনী ইসরায়েলে অজ্ঞাত বস্তুর অনুপ্রবেশের প্রতিক্রিয়া হিসেবে দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর ঘাঁটি লক্ষ্য করে আঘাত করেছে।' শুক্রবার বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে এক হাজারের বেশি হিজবুল্লাহ সমর্থক ফিলিস্তিনি পতাকা এবং ব্যানার নিয়ে গাজার জন্য সমাবেশ করেছে।ব্যানারে লেখা ছিল, 'ঈশ্বর আপনাদের রক্ষা করুক।' তারা শিয়া মুসলিমগোষ্ঠীর নেতাকে উদ্দেশ্য করে স্লোগান দেয়, '(হাসান) নাসরাল্লাহ, তেল আবিবকে আঘাত করো।'