লেবাননে নিয়োজিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ইউনাইটেড নেশন্স ইন্টারিম ফোর্স ইন লেবানন (ইউনিফিল) -এ অংশ নিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৭৫ সদস্যের একটি দল দেশটিতে গিয়েছে।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন নৌবাহিনীর সদস্যরা। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট ‘ব্যানকন-১৪’ এর আওতায় লেবাননে মোতায়েন করা নৌবাহিনী যুদ্ধজাহাজ ‘সংগ্রাম’ এ এই নৌসদস্যরা যোগদান করবেন। বিমানবন্দর ত্যাগকালে কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের চিফ স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী লেবাননগামী নৌসদস্যদের বিদায় জানান।
এর আগে, চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী বানৌজা ঈসা খানে লেবাননগামী নৌসদস্যদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান। এসময় তিনি লেবাননগামী নৌসদস্যদের সততা, নিষ্ঠা এবং পেশাগত দক্ষতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ নৌবাহিনী তথা দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে দিক-নির্দেশনা দেন। একই সঙ্গে দেশের ভাবমূর্তি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করতে নৌসদস্যদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে আসছে। লেবাননের ভূ-মধ্যসাগরে মাল্টিন্যাশনাল মেরিটাইম টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে উপমহাদেশের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত রয়েছে।
বর্তমানে নিয়োজিত নৌবাহিনী যুদ্ধজাহাজ ‘সংগ্রাম’ লেবাননের ভূ-খণ্ডে অবৈধ অস্ত্র এবং গোলাবারুদ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করতে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। পাশাপাশি এ জাহাজ লেবানিজ জলসীমায় মেরিটাইম ইন্টারডিকশন অপারেশন পরিচালনা, সন্দেহজনক জাহাজ ও এয়ার ক্রাফটের ওপর নজরদারি, দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজে উদ্ধার তৎপরতা এবং লেবাননের সামরিক সদস্যদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানসহ লেবাননে বসবাসরত বাংলাদেশিদের নিয়মিত চিকিৎসা দিয়ে আসছে। লেবাননে বাংলাদেশের নৌসদস্যদের আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি ও সুনাম বৃদ্ধি করছে।