ইজরায়েল-হামাস সংঘাত নিয়ে এবার বড় মন্তব্য করলেন ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ -এর মুখপাত্র জোনাথন কনরিকাস। তিনি আজ শুক্রবার এক ভিডিও বার্তায় বলেন, 'দুর্ভাগ্যজনকভাবে ইজরায়েলি হতাহতের সংখ্যা আবারও ১,৩০০ হয়েছে।
এদিকে ইজরায়েলি বেসামরিক ও সৈন্য এবং ৩০০০ এরও বেশি আহত হয়েছে। আমাদের ইতিহাসে আমরা কখনও এমন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে বাধ্য হইনি এবং এটি চলমান রয়েছে। এটি কয়েক দিন সময় নেবে এবং আমরা সম্প্রদায়গুলিতে উন্মোচিত ইজরায়েলি দেহগুলির আরও বেশি করে সনাক্ত করতে সময় লাগবে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে হামাসের সব সামরিক সক্ষমতা কেড়ে নেওয়া এবং আশা করছি শীঘ্রই এই যুদ্ধ শেষ হবে। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, হামাস যেন আর কোনওরকম স্ট্রাইক, হত্যালীলা যেনো ইজরায়েলের মানুষের ওপর যাতে না চালাতে পারে টা নিশ্চিত করা। গাজা উপত্যকার অভ্যন্তরে আমরা এখন যা করছি তার এটাই উদ্দেশ্য। এ কারণেই ইসরায়েলি বিমান বাহিনী গাজা উপত্যকায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বোমা সরবরাহ করছে এবং এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার সাথে সাথে আমরা সেটাই চালিয়ে যাব।‘
এদিকে আজমির দরগাহের আধ্যাত্মিক প্রধান হযরত দেওয়ান সৈয়দ জয়নুল আবেদীন বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, গাজায় চলমান ইজরায়েলি সামরিক অভিযান বন্ধ করতে। কারণ এই সংঘর্ষে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে, সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। মানুষ প্রাণ ভয়ে এদিক সেদিকে ছুটে বেড়াচ্ছেন। সন্ত্রাসী হামলা এবং ইসরায়েলি প্রতিশোধের পরিপ্রেক্ষিতে উভয় পক্ষের প্রাণহানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে আবেদিন বলেন, এই হত্যাকাণ্ড অন্যায্য এবং ইসলাম ও ইহুদি ধর্মের প্রচারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
আজমির দরগাহের আধ্যাত্মিক প্রধান এক বিবৃতিতে বলেন, 'আমি জাতিসংঘ ও ভারত সরকারের কাছে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করার এবং ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনে শত্রুতা বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি। নিরপরাধ মানুষের প্রাণহানি অযৌক্তিক এবং অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি ইসলাম ও ইহুদি উভয় ধর্মের শিক্ষার পরিপন্থী।'