বগুড়ায় আদালত প্রাঙ্গণ থেকে অপহরণের পর পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ ওঠা রোহান চৌধুরীর (২২) মরদেহ সড়কে রেখে বিক্ষোভ করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়ার মাটিডালি-বনানী দ্বিতীয় বাইপাস সড়ক অবরোধ করেন তারা। এ সময় প্রায় ১৫ মিনিট পর পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
স্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে ২০ সেপ্টেম্বর সাবেক ইউপি সদস্য গিয়াসউদ্দিনের ছেলে সেলিম মিয়াকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় গিয়াসের মামলার দুই আসামি রোহান ও সেলিম বুধবার বগুড়া মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে আত্মসমপর্ণ করতে যান।
তবে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে তাদের সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায় একটি দল। পরে রাজাপুর ইউনিয়নের মন্ডলধরন গ্রামে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে তাদের বেধড়ক মারধর করেন গিয়াস উদ্দিনসহ সহযোগীরা। গুরুতর অবস্থায় তাদের পরে স্থানীয় জয়বাংলা হাটে ফেলে যায় গিয়াস উদ্দিনরা। সেখান থেকে পুলিশ রোহানকে মৃত এবং সেলিমকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
রোহানের চাচা ফারুক চৌধুরী বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে রোহানকে দাফন করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে মামলা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, খুনিরা চিহ্নিত। তাই তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার পর থেকে গিয়াসউদ্দিনের মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ। তাদের বাড়িতেও তালা ঝুলছে।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহীনুজ্জামান জানান, স্বজন ও এলাকাবাসীকে অনুরোধ করলে তারা অবরোধ তুলে নেন। জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।