প্রথমে নব্যা নবেলি নন্দা। তারপর ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। এবার সাবা আজাদ। তিনজনকে নিয়ে নেটপাড়ায় ট্রোলিং শুরু হয়েছে সম্প্রতি। তিনজনেই অংশগ্রহণ করেছেন প্যারিস একটি নামকরা ফ্যাশন উইকে। ব়্যাম্পে হাঁটার নিয়ম জানেন না বলে, প্রথমে ট্রোলড হয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চনের নাতনি নব্যা। পোশাক এবং চেহারার কারণে ট্রোল্ড হয়েছেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চনও।
এবার টোল্ড হলেন হৃত্বিক রোশনের প্রেমিকা, অভিনেত্রী-গায়িকা সাবা আজ়াদ। প্যারিসের এই নামক করা ফ্যাশন শোয়ে সোনালি রঙের একটি পোশাক পরে দুর্দান্ত মেজাজে হেঁটেছেন সাবা। তাঁর অনুরাগীরা যদিও তাঁর এই ফুরফুরে মেজাজের ব়্যাম্পওয়াককে প্রশংসাই করেছেন। কিন্তু নিন্দুকেরা একেবারে কটাক্ষের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন। তাঁদের প্রশ্ন, “এমনটা কি কেউ করতে পারেন?”
এ ব্যাপারে হৃত্বিক রোশনকেও প্রশ্ন করা হয়েছে। সাবা নিজের মতো করে বাঁচতে পছন্দ করেন। তাঁর এই আজ়াদ, অর্থাত্ স্বাধীন চিন্তাভাবনাকে সমর্থন করেন হৃত্বিক। কেবল তাই নয়, সাবাকে সবচেয়ে বেশি সমর্থন যদি কেউ করে থাকেন, তা হলে হৃত্বিকই। সাবার যাই করেন, তাতেই বাহবা দেন তিনি। এবারও এর বিচ্যুতি ঘটেনি।
এদিকে ব়্যাম্পে এমনভাবে হেঁটে ব্যাকস্টেজেও ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন সাবা। তাঁর সেই আত্মবিশ্বাস দেখে অনুরাগীরা আরও বেশি ভালবেসে ফেলেছেন তাঁকে। তাঁরা মোটেও নিন্দা করেননি সাবাকে বরং নিন্দুকের চোখে আঙুল তুলেছেন। বলেছেন যে, এই সাবাকেই তাঁরা দেখতে চান।
সাবা অন্তর্মুখী মানুষ। তিনি দারুণ গান করেন, অভিনয়ও করেন। নিজের ব্যক্তি জীবনকে ব্যক্তিগতই রাখতে পছন্দ করেন। হৃত্বিক রোশনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বেশ কয়েকদিনের। তাঁদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আসার পর হইচই পড়ে গিয়েছিল নেট মাধ্যমে। তাঁদের প্রায়সই দেখা যায় মুম্বইয়ের ভিন্ন রেস্তোরাঁয়। তাতে বোঝা যায়, প্রেমিকাকে যথেষ্ট আগলে রাখেন হৃত্বিক। এক মুক্ত মনের মেয়েকে তিনি ভালোবেসে নিজের জীবনের সঙ্গে জড়িয়েছেন। এটা তাঁর কাছে গর্বের বিষয়।