বিয়েতে অতিথিদের আপ্যায়ণ আর উপহার দেওয়া, সন্দেহ নেই, এই দুটোই আন্তরিক প্রথা। তবে রীতিমতো সূক্ষ্ম হিসেব করে চলেন যাঁরা, তাঁরা বলতেই পারেন, যে ভোজ খেয়ে এলেন, একরকম ভাবে দেখলে তার মূল্যও তাঁরা পরিশোধ করেছেন। এটা তর্কসাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু সত্যিই যদি বিয়ের ভোজ খেয়ে অতিথিদের টাকা দিতে হয়, তাহলে কেমন লাগবে?
অবিশ্বাস্য লাগলেও এমনটা ঘটেছে সম্প্রতি ইতালিতে।
ইতালিতে এক সদ্য বিবাহিত দম্পতি তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠান উদযাপন করেন নামকরা এক রেস্তোরাঁয়। এরপর অনুষ্ঠান সমাপ্ত হলে টাকা না দিয়েই ফেরার হয়ে যান ওই দম্পতি। ওই বিলাসবহুল হোটেলটি তাঁরা নিজেদের বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া নিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রচুর আত্মীয়দের আমন্ত্রণও জানিয়েছিলেন তারা। স্বামী এবং স্ত্রীর পছন্দ অনুযায়ী নানা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল ওই অনুষ্ঠানে। উপস্থিত নিমন্ত্রিতদের জন্য নানাবিধ সুস্বাদু আহারের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল।
ওই দম্পতি নিজেদের বিয়ের অনুষ্ঠান জাঁকজমকের সঙ্গে পালন করেন, উভয়েই আনন্দ অনুষ্ঠানে মেতে ওঠেন। নিমন্ত্রিতরাও রেস্তোরাঁর পরিষেবা ও ব্যবস্থাপনায় খুশি হন।
কিন্তু অনুষ্ঠান সমাপ্ত হওয়ার পর যখন ওই রেস্তোরাঁর মালিক এসে উপস্থিত নিমন্ত্রিতদের কাছে খাওয়ার বিল চান তখন সকলেই খুব অবাক হয়ে যান। আসলে ওই দম্পতি সকলকে নিমন্ত্রিত করে আনন্দ অনুষ্ঠানে ডেকে এনে নিজেরাই পালিয়ে যান।
পরে জানা যায়, ওই দম্পতি আসলে ইতালির বাসিন্দা নন। তাঁরা অন্য একটি দেশ থেকে এখানে নিজেদের বিয়ের উদ্দেশ্যে আসেন এবং সকলকে নিমন্ত্রণ জানান। বিয়ের পর রেস্তোরাঁর ৫ লক্ষ টাকা না দিয়েই তাঁরা দেশে ফিরে যান। এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই সকলে অবাক হয়ে গিয়েছেন, সকলেই ওই রেস্তোরাঁর মালিকের প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে সহানুভূতির ঝড় উঠেছে ওই বিয়েতে আমন্ত্রিতদের জন্যও, ভোজ খেয়ে উঠে টাকা গুনতে কারই বা ভাল লাগবে!