হামাসকে চরম প্রত্যাঘাত করতে এবার কোমর বাধল ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস। প্যালেস্টাইনি যোদ্ধা গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে তীব্র লড়াইয়ের মধ্যে গাজা ভূখণ্ডকে সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল ইজরায়েল। হামাসের নিয়ন্ত্রণে থাকা ওই ভূখণ্ডে বন্ধ করে দেওয়া হল বিদ্যুত্, খাবার, জল, গ্যাস সমস্ত কিছু।
সব মিলিয়ে গাজা দখলের নীল নকশা তৈরি করে ফেলল ইহুদি দেশটি।
গত শনিবার থেকে ইজরায়েলে বেনজির হামলা শুরু করেছে প্যালেস্টাইনের শিয়া জঙ্গি সংগঠন হামাস। গাজা থেকে ইজরায়েলি ভূখণ্ডে হাজার হাজার রকেট ছুঁড়ছে ইরানের মদতপুষ্ট ওই সংগঠনটি। ইজরায়েলে ঢুকে অনেককে বন্দি করেছে হামাস বলেও খবর। তাদের গাজায় জঙ্গিদের ডেরায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ইজরায়েলের কমপক্ষে ৭০০ নাগরিক। নিহত হয়েছেন ৫০ জন সেনাও। প্রাণের ভয়ে ঘরছাড়া ১ লক্ষ ২৩ হাজার মানুষ। গাজায় জঙ্গিঘাঁটিতে ইজরায়েলের গোলাবর্ষণে প্রাণ হারাতে হয়েছে প্রায় ৪০০ জনকে। এই প্রেক্ষাপটে গাজা অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইয়োআভ গালান্ত। তাঁর হুঙ্কার, হামাসের নিয়ন্ত্রণে থাকা ওই ভূখণ্ডে খাবার, বিদ্যুত্ ও জ্বালানির জোগান বন্ধ করে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ১৪০ স্ক্যোয়ার মাইলের গাজাতে ২০ লক্ষ মানুষের বাস। অত্যন্ত ঘন বসতিপূর্ণ ওই অঞ্চলের আকাশপথ, সমুদ্র সৈকত ও জলসীমা নিয়ন্ত্রণ করে ইজরায়েল। ফলে বর্ডার ক্রসিং হয়ে কীভাবে কতটা পণ্য গাজায় ঢুকবে তা ঠিক করে তেল আভিভ। একইভাবে, মিশরে সঙ্গেও সীমান্ত ভাগ করে নিয়েছে গাজা। ফলে গাজা অবরুদ্ধ হলে এই লক্ষ লক্ষ মানুষের মধ্যে হাহাকার শুরু হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে গাজা সীমান্তে হাজার হাজার ইজরায়েলি সেনা ও সাঁজোয়া গাড়ি, ট্যাঙ্ক জড়ো হয়েছে। শনিবার থেকে ৩ লক্ষ রিজার্ভ বাহিনী জড়ো করে ফেলেছে দেশটি। এদিকে এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে হামাস গোষ্ঠীর সঙ্গে ইজরায়েলের বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার চুক্তি করতে তত্পর হয়েছে কাতার। জানা গিয়েছে, ইসরায়েলের কারাগার ৩৬ জন ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে জঙ্গি গোষ্ঠীর হাতে আটক ইসরায়েলি নারী ও শিশুদের মুক্তির জন্য আলোচনার দাবি জানানো হয়েছে কাতারের তরফে।