শনিবার সকাল থেকে ইজরায়েলে অবিরাম রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস। ইজরায়েলের জাতীয় উদ্ধারকারী পরিষেবা জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ৫০০ পেরিয়েছে। আহত আরও কয়েক হাজার। দেশটির একাধিক শহর রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চারদিকে শুধু হাহাকার আর কান্নার শব্দ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলের দূতাবাস রবিবার সকালে জানিয়েছে, গতকাল হামাসের রকেট হামলার পর দেশটির অন্তত ১০০ জন সাধারণ নাগরিককে বন্দি করা হয়েছে। হামাসের শনিবারের হামলার চরম প্রতিশোধ নিতে বড় ধরনের প্রস্তুতি শুরু করেছে ইজরায়েলি বাহিনী। তারা গাজার বাসিন্দাদের শহর ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। গাজায় তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা অংশে শনিবার রাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ইজরায়েলি সেনা। তার মধ্যেই একটি ভিডিও নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, হামাসের সন্ত্রাসীদের হাতে বন্দি একটি ইহুদি শিশুকে চূড়ান্ত হেনস্থা করছে গাজার প্রায় সমবয়সি কয়েকটি শিশু।
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, ইহুদি শিশুটিকে গাজার বাচ্চাগুলি চুলের মুঠি ধরে এবং একটি ছোট লাঠি দিয়ে মারছে। তাদের বলতে শোনা যাচ্ছে, 'তুই একটা নোংরা ইহুদি।' অত্যাচারিত শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে মাকে ডাকতে শুরু করে। কিন্তু তার কথায় কান না দিয়ে হেনস্থা চালিয়ে যেতে থাকে বাকি বাচ্চাগুলি।
এর মধ্যেই আরও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, বাবা-মা এবং দুই ভাইবোনের সামনেই আর এক নাবালিকা বোনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হচ্ছে। ইজরায়েলের সাংবাদিক ইন্ডিয়া নাফতালি ভিডিওটি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক দম্পতি মেঝেতে বসে রয়েছেন। সঙ্গে তাঁদের দুই নাবালক ছেলে-মেয়ে। কান্নায় ভেঙে পড়ে ছেলেটি বাবাকে জিজ্ঞেস করে, 'তোমার হাতে রক্ত কেন বাবা?' মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে মৃত বোনের কথা বলতে বলতে জানায়, 'আমি চেয়েছিলাম ও বেঁচে থাকুক। আমার বোন আর বেঁচে নেই।'
তার মধ্যেই দেখা যায়, আস্ত্র হাতে লোকজন হেঁটে যাচ্ছে। সেখানে বসেই আতঙ্কিত মহিলা প্রলাপ বকতে শুরু করেন, 'এমন কিছু ঘটেনি, এমন কিছু ঘটেনি।'
এর মধ্যে হামাসের সেনারা ইজরায়েলের বাসিন্দাদের বাড়িতে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। প্রাণভয়ে দুই সন্তানকে মেঝেতে শুয়ে পড়তে বলেন বাবা-মা। তারমধ্যেই ফের একজন অ্যাসল্ট বন্দুকধারীকে দেখা যায় ক্যামেরায়। যদিও তার মুখ দেখা যায়নি। এরপর নিজেদের দেহ দিয়ে সন্তানদের চাপা দিয়ে তাঁরা নিজেরাও শুয়ে পড়েন মেঝেতে।
সূত্রের খবর, বেশিরভাগ অপহরণ ও বন্দি করার ঘটনা ঘটেছে ইজরায়েলে হামাসের সেনারা অতর্কিত হামলা চালানোর ১ ঘণ্টার মধ্যে। বুলডোজারের সাহায্যে সীমান্ত প্রাচীর গুঁড়িয়ে দিয়ে ইজরায়েলে প্রবেশ করেছিল হামাসের সেনারা। তারপর থেকেই লাগাতার সংঘর্ষ চলছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তার কোনওটিতে দেখা যাচ্ছে, ইজরায়েলি সেনা এবং সাধারণ নাগরিকদের হাত বাঁধা অবস্থায় হামাসের গাড়িতে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। একটি ভিডিওতে হামাস গোষ্ঠীকে একটি ট্রাকের পিছনে একজন মহিলার মৃতদেহে লাথি মারতেও দেখা গেছে।
হামাসের ‘অপারেশন আল আকসা ফ্লাড’-এর জবাবে ইজরায়েল ‘অপারেশন আয়রন সোর্ড’ শুরু করেছে শনিবার রাতেই। গাজার উপকূলীয় এলাকায় তুমুল বোমা বর্ষণ করেছে ইজরায়েলি বাহিনী। হামাসের রকেট হামলার জবাবে ইজরায়েল শনিবার যুদ্ধ ঘোষণা করে। শনিবার রাতভর ১৭টি জায়গায় তুমুল সংঘর্ষ হয়।
নেতানিয়াহুর আশু লক্ষ্য হামাসের হাতে বন্দি ইজরালেয়ের সাধারণ মানুষ এবং সেনা ও সরকারি কর্তাদের মুক্ত করা। তাদের মধ্যে বেশ কিছু শিশু এবং নারী হয়েছেন। অন্যদিকে, হামাসের দাবি, ইজরায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিতে হবে। ইজরায়েল বাহিনীর দাবি করেছে, কিব্বুতজ বে এলাকায় তারা কিছু অপহৃতকে উদ্ধার করেছে।
শনিবার দুপুরে হামাস মাত্র কুড়ি মিনিটের মধ্যে পাঁচ হাজার রকেট ছোড়ে। তাতে এখনও পর্যন্ত ইজরায়েলের ২৫০ জন নাগরিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে, ইজরায়েলি সেনার হামলায় মারা গিয়েছেন ২৬০জন ফিলিস্তিনি। হামাসের হামলায় ইজরায়েল তাদের ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ বিবরণ এখনও প্রকাশ করেনি। তবে তাদের সামরিক ঘাঁটি অক্ষত বলে দাবি করেছে দেশটি। তাদের পাল্টা দাবি, ইজরায়েলের বিমান বাহিনী হামাসের ১৭টি বিমান ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে।
সূত্রের খবর, বেশিরভাগ অপহরণ ও বন্দি করার ঘটনা ঘটেছে ইজরায়েলে হামাসের সেনারা অতর্কিত হামলা চালানোর ১ ঘণ্টার মধ্যে। বুলডোজারের সাহায্যে সীমান্ত প্রাচীর গুঁড়িয়ে দিয়ে ইজরায়েলে প্রবেশ করেছিল হামাসের সেনারা। তারপর থেকেই লাগাতার সংঘর্ষ চলছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তার কোনওটিতে দেখা যাচ্ছে, ইজরায়েলি সেনা এবং সাধারণ নাগরিকদের হাত বাঁধা অবস্থায় হামাসের গাড়িতে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। একটি ভিডিওতে হামাস গোষ্ঠীকে একটি ট্রাকের পিছনে একজন মহিলার মৃতদেহে লাথি মারতেও দেখা গেছে।
হামাসের ‘অপারেশন আল আকসা ফ্লাড’-এর জবাবে ইজরায়েল ‘অপারেশন আয়রন সোর্ড’ শুরু করেছে শনিবার রাতেই। গাজার উপকূলীয় এলাকায় তুমুল বোমা বর্ষণ করেছে ইজরায়েলি বাহিনী। হামাসের রকেট হামলার জবাবে ইজরায়েল শনিবার যুদ্ধ ঘোষণা করে। শনিবার রাতভর ১৭টি জায়গায় তুমুল সংঘর্ষ হয়।
নেতানিয়াহুর আশু লক্ষ্য হামাসের হাতে বন্দি ইজরালেয়ের সাধারণ মানুষ এবং সেনা ও সরকারি কর্তাদের মুক্ত করা। তাদের মধ্যে বেশ কিছু শিশু এবং নারী হয়েছেন। অন্যদিকে, হামাসের দাবি, ইজরায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিতে হবে। ইজরায়েল বাহিনীর দাবি করেছে, কিব্বুতজ বে এলাকায় তারা কিছু অপহৃতকে উদ্ধার করেছে।
শনিবার দুপুরে হামাস মাত্র কুড়ি মিনিটের মধ্যে পাঁচ হাজার রকেট ছোড়ে। তাতে এখনও পর্যন্ত ইজরায়েলের ২৫০ জন নাগরিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে, ইজরায়েলি সেনার হামলায় মারা গিয়েছেন ২৬০জন ফিলিস্তিনি। হামাসের হামলায় ইজরায়েল তাদের ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ বিবরণ এখনও প্রকাশ করেনি। তবে তাদের সামরিক ঘাঁটি অক্ষত বলে দাবি করেছে দেশটি। তাদের পাল্টা দাবি, ইজরায়েলের বিমান বাহিনী হামাসের ১৭টি বিমান ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে।