রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাছে মিসাইল গাইডেন্স সিস্টেমে ব্যবহারের উপযোগী মাইক্রোইলেকট্রনিক ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট বিক্রির অভিযোগে চীনের ৪২ টি কোম্পানিসহ মোট ৪৯টি কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার জারি করা এই নিষেধাজ্ঞার খাঁড়ায় চীনা কোম্পানিগুলো ব্যতীত বাকি যে ৭টি কোম্পানি পড়েছে, সেগুলো এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, ভারত, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা অ্যালেন এসতেভেজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রথমত এসব কোম্পানি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে নিজেদের পণ্য বিক্রির মাধ্যমে রাশিয়াকে সহযোগিতা করছে এবং দ্বিতীয়ত, নিজেদের পণ্য তৈরির প্রয়োজনীয় কাঁচামাল তারা সংগ্রহ করছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।’
‘রুশ বাহিনী ইউক্রেনে যে আগ্রাসন চালাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র কঠোরভাবে তার বিরোধী। তাই আমাদের দেশের কাঁচামাল দিয়ে তৈরি পণ্য যত হাত ঘুরেই রাশিয়ার হাতে পৌঁছাক না কেন— আমরা ঠিকই তা ট্রেইল করব, এই ব্যাপারটি বন্ধে অক্লান্ত পরিশ্রম করব এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেব। এক্ষেত্রে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগার কোনো অবকাশ আমাদের নেই।’
সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোনের আঘাত নিশ্চিত করার জন্য ব্যবহার করা হয় মাইক্রোইলেকট্রনিক ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট। শুক্রবার যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, তার জেরে এখন থেকে আর এই সার্কিটের কাঁচামাল যুক্তরাষ্ট্র থেকে জোগাড় করতে পারবে না এই ৪৯টি কোম্পানি।
মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি ম্যাথিউ এক্সেলরড পৃথক এক বিবৃতিতে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘যাদেরকে আজ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো, তাদের উদ্দেশ্যে আমরা স্পষ্টভাবে এই বার্তা দিতে চাই যে—যদি আপনারা যুক্তরষ্ট্রের প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো কিছু রাশিয়ার কাছে হস্তান্তর করেন, আমরা ঠিকই খুঁজে বের করব এবং পদক্ষেপ নেব।’সূত্র : আরটি