২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে করের হার দ্বিগুণ বাড়ানোর পর জমি নিবন্ধনের উৎস কর কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত বুধবার রাতে জারি করা এনবিআর কর নীতির সদস্য ড. সামস উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এখন জমিকে পাঁচটি ভাগে শ্রেণিবদ্ধ করেছে এনবিআর। বাণিজ্যিক (সাধারণ), আবাসিক (সাধারণ), বাণিজ্যিক (রিয়েল এস্টেট) এবং আবাসিক (রিয়েল এস্টেট) এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের অন্যান্য জমি।
এর আগে জমির শুধু দুটি শ্রেণি ছিল—বাণিজ্যিক এবং আবাসিক।
গুলশান, বনানী, মতিঝিল এবং তেজগাঁও থানার অধীন সব মৌজায় সাধারণ-বাণিজ্যিক প্লট এবং রিয়েল এস্টেট-ডেভেলপড বাণিজ্যিক প্লটের জন্য সর্বোচ্চ উৎস কর এখন হবে ১৫ লাখ টাকা, যা আগে ছিল ২০ লাখ টাকা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেট হবে ছয় লাখ টাকা বা রাজধানীর একই এলাকায় সাধারণ-আবাসিক প্লট এবং রিয়েল এস্টেট-ডেভেলপড আবাসিক প্লটের দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ। এ ছাড়া সর্বনিম্ন রেট হবে পাঁচ লাখ টাকা বা একই এলাকার মধ্যে অন্যান্য জমির দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ।
তবে অন্যান্য সিটি করপোরেশন এলাকায় নিবন্ধনের ক্ষেত্রে একই করের হার ৬ শতাংশ থাকবে। জেলা শহরের বাইরে পৌরসভার জন্য ৪ শতাংশ এবং বাইরের সব মৌজার জন্য ২ শতাংশ উৎস কর আরোপ করা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আরো দক্ষ প্রগতিশীল কর কাঠামো প্রতিষ্ঠার জন্য নতুনভাবে জমি শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, জমির ক্রেতা এবং বিক্রেতা দুই পক্ষই নতুন এই ব্যবস্থা থেকে উপকৃত হবে।
এতে শুধু করই কমবে তা নয়, বরং আবাসিক জমি ক্রয়-বিক্রয়ের খরচও কমবে।
আয়কর আইন ২০২৩-এর আওতায় ‘উৎস কর বিধিমালা’ অনুসারে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ সব এলাকার সম্পত্তি নিবন্ধন কর দ্বিগুণ করা হয়। বাংলাদেশের যেকোনো এলাকায় স্থাবর সম্পত্তি বা জমি ও ফ্ল্যাট হস্তান্তর হোক না কেন মালিকানা অর্জন করতে কর দ্বিগুণ গুনতে হবে।