মজুরি বৃদ্ধি ও উন্নত কর্ম পরিবেশের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রে ৭৫ হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী ধর্মঘট করছে। বুধবার থেকে তারা কর্মবিরতি শুরু করেছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য খাতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আন্দোলন হিসেবে দেখা হচ্ছে এই ধর্মঘটকে। জানা গেছে, এই কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যকর্মী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কাইজার পার্মানেন্ট থেকে নিয়োগকৃত কর্মীরাই যোগ দিয়েছেন।
ওয়াশিংটন ডিসি, লস অ্যাঞ্জেলসসহ বিভিন্ন শহরে র্যালিতে অংশ নেয় শত শত স্বাস্থ্যকর্মী। তাদের দাবি, কাজ অনুযায়ী পারিশ্রমিক দেয়া হয় না তাদের। অতিরিক্ত কর্মঘণ্টার জন্যও বাড়তি মজুরি মেলে না।
এক্স-রে টেকনিশিয়ান আমান্ডো ভেলাস্কো জানান, মহামারি করোনা শুরুর পর আমরা অনেক সদস্যকে হারিয়েছি এবং আমরা কখনো তাদের ফিরে পাব না। নার্স ক্যাথি লোজোয়া বলেন, কাইজার পারমানেন্টে কর্তৃপক্ষ বলেছে, তাদের কোটি কোটি ডলার মুনাফা হয়েছে। সুতরাং কাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আমাদের সবার দাবি, প্রথমসারির কর্মীদের মধ্যে যেন সে লভ্যাংশ ভাগ করে দেওয়া হয়। আমরা সবাই চাই ভালো একটি চুক্তি হোক, যেন আমরা বেঁচে থাকতে পারি। জানা গেছে, ক্যালিফোর্নিয়া, কলোরাডো, অরিগন ও ওয়াশিংটনে কাইজার পারমানেন্টের এলাকাগুলোয় তিন দিনের এ ধর্মঘটের প্রভাব পড়বে। এরইমধ্যে ওয়াশিংটন, ডিসি ও ভার্জিনিয়ার কিছুসংখ্যক কর্মী ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতিতে গেছেন।
ফেলো নার্স স্কারলেট রোচা বলেন, কর্মীদের সংখ্যা কমে যাওয়াটা রোগীদের জন্য ভালো হবে না। তার ভাষ্য অনুযায়ী, দিনে ১২ ঘণ্টা কাজ করা, ২৬ জন রোগীর বিপরীতে মাত্র একজন নার্স কোনো আদর্শ সংখ্যা হতে পারে না। এক জায়গায় অনেক রোগীকে নিয়ে কাজ করতে গেলে তা নার্সের জন্যও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে না। কাইজার কর্তৃপক্ষ বলেছে, কেন্দ্রীয়ভাবে আলোচনার পথ খোলা আছে। তবে তারা বলছে, এর জন্য স্বাভাবিকের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে।